পাখি সংরক্ষন আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি,পুলিশ কর্মকর্তার পানকৌড়ি নিধন



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সার্কেল এএসপি শাহরিয়ার আল মামুন নবীনগর থানায় যোগদানের কয়েকদিনের মাথায় পরিবেশ আইনকে উপেক্ষা করে গাছের ডালপালা কর্তনের নামে থানার ভিতরে নিরাপদে থাকা কয়েক’শ পানকৌড়ি নিধন করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই নিধন প্রক্রিয়া চালান। ডালপালা কর্তনের পর পানকৌড়ির বাচ্চা ধরতে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা ছুটোছুটি শুরু করে। এই নিধনের ফলে ওই নিরিহ পানকৌড়িগুলির নিরাপদ অভয়াশ্রমস্থল আর থাকলনা। পাখি সংরক্ষন আইনে পাখি নিধন আইনত দন্ডনীয় অপরাধ হলেও থানার বেলায় দন্ড দেবেন কে? এমন প্রশ্ন তুলেন উপস্থিত শতশত জনতা।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন হাওড়ে চড়ে বেড়ানো বিভিন্ন জাতের পানকৌড়ির অভয়াশ্রম হচ্ছে নবীনগর থানার বিভিন্ন গাছপালা। থানার ভিতরে থাকায় ভয়ে কেউ ওই পাখিগুলিকে শিকার করতে সাহস পায়না। তাই নিরাপদে নির্ভয়ে কয়েক বছর ধরে পানকৌড়িগুলি থানার ভিতরে বসবাস করছে। প্রজনন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত না হওয়ার ফলে প্রতি বছর এই মৌশুমে ডিম ফুটে কয়েশ পানকৌড়ির বাচ্চ বের হয়। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তার এই গাছ কর্তনের ফলে ওই নিরাপদ অভয়াশ্রম থেকে নিচে পড়ে শতশত পানকৌড়ির বাচ্চা মারা যায়।
কেন এই নিধনের কারণ জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টোয়েন্টিফোরডটকম এর এই সংবাদদাতকে সার্কেল এএসপি শাহরিয়ার আল মামুন ঘটনাটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, গাছের একটি ডালপালাও কাটা হয়নি। আপনি এসে দেখে যান।