আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ, জমি অধিগ্রহন নিয়ে শঙ্কিত এলাকাবাসি
মো. জিয়াউল ইসলাম, আখাউড়া থেকে : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণে আগ্রহী দুই দেশের সরকার। গত সাপ্তাহে এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল আগরতলা সফর করেছে। দেশে ফিরে ২০১৫ সালের মধ্যবর্তী সময়ে এ প্রকল্পের নির্মান কাজ শুরুর কথা জানিয়েছে প্রতিনিধি দলটি। অন্য দিকে রেলপথ নির্মাণে প্রস্তাবিত আখাউড়া গঙ্গাসাগর এলাকার জনগণ মধ্যে বিরাজ করছে বসতবাড়ি ও কৃষি জমি হারানোর আতংক।
জানা যায় ২০১৫ সালের মধ্যবর্তী সময়ে শুরু হবে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মান কাজ। ভারত সরকারের অর্থায়নে ২৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ নির্মান কাজ সম্পন্ন করা হবে। আগরতলা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। ভারতীয় অংশে নির্মাণ হবে ৫ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশ অংশে ১০ কিলোমিটার। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশ ও ভারতের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের দুই দিনের বৈঠক শেষে গত বৃহস্পতিবার আখাউড়া স্থল বন্দরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রতিনিধি দল। অন্যদিকে বাংলাদেশ অংশের জন্য জমি অধিগ্রহণে প্রস্তাবিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর এলাকার জনগণের মধ্যে এখন বসতবাড়ি জমি হারানোর আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেউ বলছেন উপযুক্ত বিনিময় মূল্য প্রদান করলে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন তারা। আবার অনেকে বিকল্প পথে এ রেলপথ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ভারত সরকার এ রেলপথ চালুর ব্যাপারে উদ্যোগী বলে জানিয়েছেন ভারতীয় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট স্বপন কুপার দাশ । বাংলাদেশর প্রতিনিধি দলের প্রধান রেল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুনীল চন্দ্র পাল জানান। অধিগ্রহণের পর আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে কাজ রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।তবে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ দ্রুত নির্মাণে কাজ করছে দুই দেশের সরকার। রেলপথ চালু হলে দুই দেশের মধ্যে চলাফেরা ও ব্যবসা বাণিজ্যেও প্রসার ঘটবে। তবে প্রস্তাবিত স্থান আখাউড়া গঙ্গাসাগর এলাকার জনগনের দাবি এই রেলপথ স্থাপনে ন্যায্য মূল্যে জমি অধিগ্রহন করে রেলপথ নির্মাণ শুরু করবে সরকার।