শুক্রবার আখাউড়ায় আসছেন আইনমন্ত্রী, আওয়ামীলীগের বিরোধ প্রকাশ্যে
প্রতিনিধি : শুক্রবার আখাউড়ায় আসছেন কসবা-আখাউড়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এড. আনিসুল হক। এর আগে সাংসদ ও মন্ত্রী হয়ে সংবর্ধনা গ্রহন করতে ৩১ জানুয়ারী তিনি প্রথমবার আখাউড়ায় আসেন। তিনি আওয়ামীলীগের কর্মী সমাবেশ, পৌরশহরের রাধানগরবাসীর মতবিনিময় সভাসহ কয়েকটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। মন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন যাবত মাইকে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবে মন্ত্রীর এসব কর্মসূচিতে উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুলকে উপেক্ষিত করা হয়েছে। আওয়ামীলীগের একটি অংশ এসব প্রচারণা চালাচ্ছে। নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থাকার পরও তাদেরকে বাদ দিয়ে এসব কর্মসূচীর আয়োজনা করা নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে বিরোপ প্রতিক্রিয়ার সৃস্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারী সংসদ নির্বাচনে কসবা-আখাউড়া আসনে এড. আনিসুল হক বিনা প্রাতিদ্বনিদ্বতায় নির্বাচিত হয়। পরে তিনি আইনমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় ৩১ জানুয়ারী আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে আখাউড়ায় সংবর্ধনা দেয়া হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচিত কমিটি থাকা সত্বেও সংবর্ধনা প্রস্তুতি কমিটির নামে সাধারণ সম্পাদকসহ দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বাইরে রাখা হয়। এমনকি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান মঞ্চে মেয়র ছাড়া আরও কারো বসার আসন ছিল না। মূলত আখাউড়ায় আইনমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের ইশারায় এসব হয় বলে তখন অভিযোগ উঠে। এরপর থেকেই পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ কয়েকজন শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ২৩ মার্চ আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আখাউড়ার রাজনীতিতে অপরিচিত ঢাকার রমনা থানা কৃষকলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ব্যবসায়ীক সূত্রে ঢাকায় অবস্থানকারী তাকজিল খলিফা কাজলের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত আবুল কাসেম ভূইয়াকে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের সমর্থন দেয়া হয়। নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। তার পরাজয়ের পেছনে আওয়ামীলীগের তৃনমূল পর্যায়ের কিছু নেতা-কর্মী ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৬জন শীর্ষ নেতাকে দায়ী করেন। এরপর থেকেই পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা উপজেলা আওয়ালীগের কোন পদে না থেকেও তার ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে আওয়ামীলীগের দলীয় কর্মসূচি পালন করতে শুরু করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী আব্দুল মতিন বলেন, এড. আনিসুল হক রাজনৈতিক ব্যক্তি না হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। তিনি আখাউড়ায় আসবেন অথচ দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক জানবে না তাতো হয় না। তিনি বলেন এতে করে দলের কোন্দল প্রকাশ্যে রূপ নিল।
পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা বলেন মাঠ পর্যায়েল সকল নেতাকর্মীরা চায় সভাপতি সাধারণ সম্পাদসহ ৫জনকে ছাড়া কর্মী সমাবেশ হোক।