কসবায় ভূয়া সনদে ১৪ বছর ধরে শিক্ষকতা
প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মোঃ জানে আলম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভূয়া সনদে ১৪ বছর কলেজে শিক্ষকতা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
জানে আলম কসবায় মহিলা ডিগ্রী কলেজের সাচিবিক বিদ্যা ও অফিস ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রভাষক ৷ ওই অভিযোগে গত বৃহস্পিতবার তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ৷
কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর তদন্ত করে জানে আলমের ভুয়া সনদে চাকরি নেওয়ার সত্যতা পায়৷ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কলেজ-৩) মো. হেলাল উদ্দিন গত ৬ এপ্রিল জানে আলমের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে কলেজের অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেন ৷ এ নির্দেশ মোতাবেক ২ মে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ জানে আলমকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় ৷
বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষ ওই প্রভাষককে সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দেন ৷
শিক্ষা অধিদপ্তর ও কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কসবা পৌর শহরের জানে আলম ২০০০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ওই কলেজে সাচিবিক বিদ্যা ও অফিস ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রভাষক পদে যোগ দেন ৷ আবেদনের সঙ্গে তিনি জাতীয় বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী (নট্রামস) বগুড়ার একটি ডিপ্লোমা সনদপত্র দাখিল করেন ৷ এই সনদের যথার্থতার বিষয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের সন্দেহ হয় ৷
পরে সনদটি যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে হেলাল উদ্দিন গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর নট্রামস বগুড়াকে অনুরোধ করেন ৷ নট্রামস বগুড়ার জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেিমর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মাহবুবুর রহমান গত বছরের ৬ অক্টোবর সনদপত্র যাচাইয়ের প্রতিবেদন শিক্ষা অধিদপ্তরে দাখিল করেন ৷
তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, যাচাই করে দেখা গেছে, সনদটি নট্রামসের ইস্যু করা নয়, এটি ভুয়া ৷
তবে জানে আলম দাবী করেন, তিনি নট্রামস বগুড়ার অনুমোদিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বিটঘর বাজারের গনি ভূঁইয়া বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ একাডেমি
থেকে সাচিবিক বিদ্যা ও অফিস ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ডিপ্লোমাসম্পন্ন করেছেন ৷ কাজেই সনদটি ভুয়া নয় ৷
কলেজের অধ্যক্ষ মো. তসলিম মিয়া জানান, পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানে আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ৷