কসবায় আ’লীগের দু’পক্ষের সংর্ঘষে ওসিহসহ আহত ২০, আতঙ্কে এলাকাবাসী



খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী, কসবা প্রতিনিধি :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় খাস জমিকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ওসি-পুলিশসহ ২০জন আহত হয়েছে।
গত ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কাঠেরপুল নামক স্থানে আওয়ামীলীগ নেতা মোকাদ্দেছ মেম্বার এবং সিদ্দিক মেম্বারের লোকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে নিক্ষেপ করতে হয় রাবার বুলেট। সংঘর্ষের কারণে মহাসড়কে সৃষ্টি হয় প্রতিবন্ধকতা।
জানা যায়, উপজেলার কুটি ইউনিয়নের খাস জমি বন্দোবস্ত সংক্রান্ত বিরোধ নিরসনে বৃহস্পতিবার সকালে কুটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মাইজখার গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা মোকাদ্দেছ মেম্বার ও বিষ্ণুপুর গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা সিদ্দিক মেম্বারের পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে সকাল ১১টার দিকে কাঠেরপুল নামক স্থানে দু’দল গ্রামবাসী দেশী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
খবর পেয়ে কসবা থানার ওসি (তদন্ত) মো. মফিজ উদ্দিন ভূইয়ার নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌচ্ছে ৪৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যর্থ হলে পরে জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পৌঁছে ব্যাপক লাঠিচাজ করে বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
কয়েক ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে চার পুলিশসহ ২০ জন আহত হয় । এর মধ্যে কসবা থানার ওসি (তদন্ত) মো. মফিজ উদ্দিন ভূইয়া, উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রেমধন মজুমদার, (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম, কনস্টেবল বদরুল, গ্রামবাসী মো. ফজলুল হক (৪০), জাহের মিয়া (৪৫), বাহার মিয়া (২২), জসিম মিয়া (৩২), দেলোয়ার হোসেন (২২), মাহফুজ মিয়া (৬০) ও কামাল মিয়াকে (৪৬) কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি এবং গুরুতর অন্যদেরকে কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাঠেরপুল এলাকায় প্রায় এক ঘন্টা নাগাদ যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
কসবা থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
এই দিনই আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর নির্দেশে তার এপিএস রাশেদুল কায়সার জীবন দ্রুত এলাকায় এসে তার নেতৃত্বে ৫সদস্য বিশিষ্ট একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে পৃথক পৃথক ভাবে ডেকে শনিবার ২৬ এপ্রিল ১০ টায় মিমাংসা কল্পে সিদান্ত গৃহিত হয় বলে প্রতিনিধি দলটি জানান ।
মিমাংসায় ব্যর্থ হলে বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী ধারণা করছেন।