Main Menu

নাসিরনগরে পুলিশের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার, আতঙ্কে নুরপুর গ্রামবাসী

+100%-

মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসির নগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগরের পুলিশের দায়ের করা মামলা গ্রেফতার, আতংকে ভোগছে গোর্কন ইউনিয়রেন নুরপুর গ্রামবাসী ।নাসির নগর থানার এস আই মোঃ তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ১৯ জন ও অজ্ঞাতনামা ৪৫০ জনকে আসামী করে একটি পুলিশ এসল্ট  মামলা দায়ের করেছে ।এরই মাঝে পুলিশ ৯ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরন করেছে । বাকীরা পুলিশের ভয়ে গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ।

অপরদিকে জেঠাগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ খসরূ মিয়া বাদী হয়ে ৩০জন গংকে আসামী করে আরো একটি অগ্নিসংযোগ ও লুটপাতের মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গেছে ।

তবে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত খসরুর মামলাটি আমলে নেয়নি পুলিশ, জানান খসরু ।

বুধবার সকাল সাড়ে আটটা  চৈয়ারকুড়ি বাজারে মাধবপুর রাস্তার উপরে  সিএনজি ষ্টেশন দখলের আধিপত্য বিস্তারকে  কেন্দ্র করে গোকর্ণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের মোঃ ইমরান ও জেঠা গ্রামের মোঃ সাজিদুর রহমানের মাঝে কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে নুরপুর ও জেঠা  গ্রামের দু-দল গ্রামবাসী দেশীয় আস্ত্র শস্ত্রনিয়ে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে ।  সংঘর্ষ চলাকালে পুরুষ  মহিলা ও পুলিশ সহ প্রায় ৩০জন আহত হয় ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ঘটনাস্থলে  অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন,করা হয় । পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ২টি টিয়ারসেল,৪০ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ৫টি শর্ট গানের গ্যাস নিক্ষেপ করে বলে নাসির নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল কাদের জানান ।সকাল সাড়ে আটটা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চলা সংর্ঘষের সময় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা চৌধুরী মোয়াজ্জম  আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার,থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃআব্দুল কাদের, সদর সার্কেল শাহ আলম বকাউল উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে । সংর্র্ঘষ চলাকালে হামলাকারীরা গোর্কন ইউনিয়ন বি এন পির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জেঠাগ্রামের মোঃ আতিকুর রহমান খসরুর মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর ,লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ  করেছে বলে খসরু মিয়া জানান । তিনি বলেন আগুনে  ১ টি গরু ও ৬ টি ছাগল পুড়ে ভস্মিভুত হয়। তাতে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয় । আহতদের মাঝে এ এস আই মিজানুর রহমান,কনষ্টেবল মোঃ ডালিম সরকার,ও কনষ্টেবল মোঃ শিবির আহমেদ কে নাসির নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।

আহত এ এস আই মোঃ মিজানুর রহমান জানায় আমরা ঝগড়া থামাতে গেলে মোঃ বকুল ও জাকিরের নেতৃত্বে একদল উশৃংখ লোক এসে আমাদের ও হামলা করে মারপিট শুরু করে দেয় ও মুমুর্ষ অবস্থায় নুরপুর গ্রামের মোঃ আব্দুর রহমান কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয় অন্যরা পুরিশের ভয়ে বিভিন্ন জায়গা চিকিৎসা নেয় । পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ৯ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে ।






Shares