Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর মাঝে সৌহার্দ্য ও ভালোবাসা আনে হালখাতা অনুষ্ঠান

+100%-

ওয়েব থেকে নেয়া ::আজ পয়লা বৈশাখ ১৪২১ বঙ্গাব্দ। বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য এটি একটি ঐতিহ্যবাহী দিন। এদিন সারা দেশে বৈশাখী আনন্দের সাথে উদযাপিত হয় হালখাতার। তেমনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরাও ব্যস্ত এখন হাল খাতা নিয়ে।

প্রতি বছর বৈশাখ এলেই চলে হাল খাতার মহোৎসব। আর এই দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে এখানকার ব্যবসায়ীরা। ধুমধাম করে আয়োজন করা হয় হালখাতার। পুরাতন বছরের হিসাব-নিকাশ মুছে নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুন খাতায় নাম লেখাতে এই খালখাতার আয়োজন। স্টেশনারি দোকানগুলোতে ব্যবাসায়ীদের নতুন টালি খাতা কেনার ধুম পড়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হালখাতা উদযাপনের রেওয়াজ শত বছর ধরে। তবে হালখাতা এক সময় শহরের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পালন করা হলেও এখন এই রেওয়াজ উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে পালন করা হয়। তবে হিন্দু কিংবা সনাতন ব্যবসায়ীরা বেশিরভাগই হালখাতা উৎসবকে এখনো ধরে রেখেছেন। হালখাতা অনুষ্ঠানে পুরোনো বছরের লেনদেন পরিশোধ করে নতুন বছরে নতুন খাতায় নাম লেখায় ব্যবসায়ীরা।

প্রতিবছর এদিন এলে ব্যবসায়ীরা নতুন টালি খাতা কিনে আবার নতুন করে হিসাব-নিকাশ শুরু করে। পাশপাশি বছরের এই দিন তারা মিলনের দিন বলেও আখ্যায়িত করে থাকে। দিনব্যাপী চলে ভোজনসহ নানান অয়োজন। তবে ব্যবসায়ীরা মনে করছে ব্যবসার প্রসারে হালখাতার গুরুত্ব অনেক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার টানবাজার এলাকার ব্যবসায়ী নেতারা মনে করেন বাংলা নতুন বছরে হালখাতা হল ব্যবসায়ীদের সম্পর্কের সৌহার্দ্য ও ভালোবাসার প্রতীক। হালখাতাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের মাঝে তৈরি হয় মিলনমেলার। তবে হালখাতাকে শুধু হিন্দু ও সনাতন ধর্মের রেওয়াজ মানতে নারাজ এখানকার ব্যবসায়ীরা। কেননা বৈশাখ যেমন সকল ধর্মের সার্বজনীন উৎসব তেমনি হালখাতাও সকল ব্যবসায়ীদের সার্বজনীন উৎসব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া টানবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী আবদুর রাজ্জাক জানান, বাংলা নতুন বছরে হালখাতার মাধ্যমে শত বছরের ঐতিহ্যকে রক্ষা ও ব্যবসায়ীদের মাঝে ভ্রাত্বৃত্বের সৃষ্টি করবে। এখন হালখাতার প্রচলন অনেকটা কমে গেছে। তারপরও আমরা এই প্রথা ধরে রাখার জন্য চেষ্টা করছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তানজিল আহমেদ জানান, হালখাতার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা তাদের আগামি বছরের সম্পর্ককে আরও বেশি দৃঢ় করতে এবং ব্যবসার প্রসার ঘটাতে এ আয়োজন সব সময় অব্যাহত রাখবে বলে আমি আশা করছি।



« (পূর্বের সংবাদ)



Shares