পৌরসভার দুর্ভোগ বাড়াতে বিলবোর্ড বসানোর চেষ্টা !
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর যানযটের শহর। এ শহরের একটি মাত্র প্রধান রাস্তা, রাস্তাটি এমনিতেই খুব একটা প্রশস্ত্র নয়। তারপরও হকাররা রাস্তার কিনারে দোকান বসিয়ে রাস্তাকে সংকুচিত করে তোলেছে। ব্যাটারী চালিত গাড়ির পার্কিং এর জায়গা হল রাস্তা, এতসব বাধার কারণে চলাচলের জন্য রাস্তার খুব কম জায়গাই থাকে উন্মুক্ত। যানযটের সমস্যা কমাতে শহরের ফকিরাপুল (বড় ব্রীজ) এর সাথে তৈরী করা হয়েছে আরেকটি ব্রীজ। এ ব্রীজের বাধে একটি বড় বিলবোর্ড স্থাপনের জন্য পৌরসভা থেকে অনুমতি নিয়েছে সিমেন্ট কোম্পানী “ কবির ষ্টীল ”।
“কবির ষ্টীল” মিলের শ্রমিকরা ব্রীজের বাধে কাজ শুরু করতে গেলে ব্রীজ সংলগ্ন মার্কেটের মালিকরা এতে বাধা দেয়। মার্কেট মালিকরা দাবী করছে এত বড় বিলবোর্ডের চাপ সামলানোর ক্ষমতা এ বাধের নেই। সামনে ঝড়ের মৌসুম, যদি কোন কারণে বিলবোর্ডটি ভেঙ্গে পড়ে তা হলে যান-মালের প্রচুর ক্ষতি হবে, ্এমনকি প্রাণহানির মত ঘটনাও ঘটতে পাড়ে। বাধা পেয়ে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে চলে যায়। গত পরশু রাত্রে তারা ব্রীজের উত্তর পার্শ্বে আবারও গর্ত করতে থাকে।এবার বাধা দেয় নিকটস্থ থানার পুলিশ। পুলিশের বাধা পেয়ে তারা কাজ বন্ধ করে চলে যায়।
এ রাস্তাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের, এখানে বিলবোর্ড বসানোর অনুমতি দিয়েছে পৌরসভা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার সচিব মহোদয় জানান, পৌরসভার রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য তাদেরকে বিলবোর্ড বসানোর নিদের্শ দেয়া হয়েছে। তারা কি ধরনের বিলবোর্ড বসাবে সেটা জানায়নি। ঘটনাস্থল সরজমিনে পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেবে , আপাতত কাজ বন্ধ থাকবে বলে জানান।
ব্রীজটি সড়ক ও জনপথের হওয়ায় কাল ঘটনাস্থলে আসেন সড়ক ও জনপথের প্রকৌশলী। তিনি জানান, বিলবোর্ড সড়ক ও জনপথের জায়গায় পৌরসভা কিভাবে বিলবোর্ড বসানোর অনুমতি দেয় তা বোধগম্য নয়। তাছাড়া যে জায়গায় বিলবোর্ডটি বসানো হচ্ছে তাতে করে ব্রীজের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যারা বিলবোর্ড বসাচ্ছে তাদের সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।