নাসিরনগরে সায়েম চেয়ারম্যানের মৃত্যু: বেরিয়ে আসছে অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা
মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর, ব্রাহ্মনবাড়িয়াঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের সায়েম চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পর বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল। পিতা সুন্দর আলীর ৫ ছেলের মাঝে সায়মে ছিল ৪র্থ। এতদিন মানুষ যাকে জানতো দানবীর ও নিঃসন্তান । এখন মৃত্যুর পর দেখা গেছে তার রয়েছে ৩ স্ত্রী ২ ছেলে ৪ মেয়ে । ঘটনার রহস্য কি জানতে উৎসুক জনতা ভীড় করছে তার বাড়িতে ।চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পর তিন স্ত্রী ও ছয় সন্তান এসে উপস্থিত তার বাড়িতে। সম্পত্তিরভাগ বন্টন নিয়ে এখন চলছে বিভিন্ন হিসাব নিকাশ ।জানা গেছে তার বড় মেয়ের বয়স প্রায় ২৬ বছর। সে ও রয়েছে তার স্বামীর ঘরে ।এতদিন তিন বউয়ের কথা গোপন রাখার কারন জানতে চাইলে কেউ মুখ খুলেনি ।ওই ঘটনায় হতভম্ব আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী । সায়েমের বড় স্ত্রী রাবয়ো বেগম (৪৮) থাকেন ঢাকার টঙ্গী গাজীপুরের দত্ত পাড়ায় ভাড়াটয়িা বিড়িতে। তিনি জানান, আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর র্পুবে সায়মেরে সাথে তার বিয়ে হয় । বর্তমানে তার তিন মেয়ে এক ছেলে। বিয়ের পর সে তনি মেেয় ও এক ছেেল সন্তান প্রসব করে ।তার বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। মেজো স্ত্রী আয়শো আক্তার (৩৫)। তিনি থাকেন ফকিররের পুল ঢাকায়।তিনি জানান, তার বিয়ে হয়েছে প্রায় ১৭ বছর আগ।তার কোন সন্তান নেই। তৃতীয় স্ত্রী নুসরাত জাহান ডলি (৪০)।তিনি থাকেন ধলিপাড়া উত্তরায়। উত্তরা।তিনি জানান তার বিয়ে হয়েছে প্রায় ১৫ বছর আগে ।তার রয়েছে ১ছেলে ও ১ মেয়ে । এলাকাবাসী জানায় , সায়েম ছোট বেলা থেকে ঢাকায় থাকতেন । প্রথম জীবনে তিনি হোটলে বয় হিসেবে কাজ করতনে। পরে কিভাবে কোটিপতিত হয়ছেনে তা জানে না এলাকার কেউ। । মৃত্যুর প্রায় ৬ মাস আগে তিনি উপজলো বি এন পি তে যোগ দেন।এতদিন মানুষ জানতো তিনি নিঃসন্তান দানবীর । । এলাকার মসজদি মাদ্রাসার উন্নয়নে তিনি বেশ কাজ ও করছেনে । গরীব দুঃখীকে সাধ্যমত সহযোগতিাও করতেন । প্রদীপ কেন নিজের ঘর অন্ধকার করে অন্যকে আলো দিল এমন প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে মুখে ।।জানা গেছে গত সোমবার এক সড়ক র্দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্র্তি হন সায়েম। মঙ্গলবার বেলা ১২ ঘটিকায় হাসপাতালেই মারা যানতিনি । পরের বুধবার সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়িতে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। সায়েম চেয়ারম্যানের মৃত্যু, তার উত্থান ও এত স্ত্রী সন্তান নিয়ে এলাকায় চলছে এখন ব্যাপক গুঞ্জন।