Main Menu

ভোটের আগেই আরেক ভোট যুদ্ধ

+100%-

নিজস্ব প্রতিবেদক ::৩১ মার্চ অনুষ্ঠেয় উপজেলা নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী নির্ধারণের লক্ষ্যে তৃণমূলের নেতাদের ভোটের মাধ্যমে আগামীকাল বৃহস্পতিবার একক প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নয় জন নেতা মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন। আগামী ১২মার্চ মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহারের শেষ দিন। তার আগেই দল থেকে একক প্রার্থী নির্ধারণ করতে চায় আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। প্রার্থীদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করার পরও একক প্রার্থীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় সর্বশেষ তৃণমূলের ভোটারের মাধ্যমে সরাসরি ব্যালট পেপারে ভোট প্রদান করে একক প্রার্থী নির্ধারণ করতে চায় আওয়ামী লীগ। দলের নেতা কর্মীরা বলছেন ‘আওয়ামী লীগের মোট নয়জন প্রার্থী থাকলেও মূলত প্রতিদ্বন্ধিতা হবে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তাজ মোঃ ইয়াছিন, মাছিহাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এবং যুবলীগ সভাপতি এডঃ মাহবুবুল আলম খোকনের মধ্যে।

আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরি জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে স্থানীয় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ স্মৃতি মিলনায়তনে ( টাউন ক্লাব) ভোট গ্রহণ শুরু হবে। জেলা আওয়ামী লীগের ৪০ জন সহ ইউনিয়ন সভাপতি, সেক্রেটারী, ওয়ার্ড সভাপতি, সেক্রেটারী সহ মোট ২৩৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। পুরো ভোট প্রক্রিয়া তত্বাবধান করবে জেলা আওয়ামী লীগ।

এ ভোটকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। দিন রাত অবিরত প্রার্থীরা ছুটে চলেছেন ভোটারদের কাছে। প্রার্থীতায় ও ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতায় এ মুহুর্তে  এগিয়ে আছেন যুবলীগ সভাপতি এডঃ মাহবুবুল আলম (খোকন),আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তাজ মোঃ ইয়াছিন, মাছিহাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ।

প্রথমদিকে মাছিহাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের নাম ব্যানার, পোস্টারে ব্যাপকভাবে দেখা গেলেও ভোট গ্রহণের পূর্ব মূহুর্তে উনি অনেকটাই ম্রিয়মান।

অন্য দু’জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তাজ মোঃ ইয়াছিন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হেলার উদ্দিন ব্যক্তি জীবনে একে অন্যের নিকটআত্মীয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে দু’জনেই অনমনীয় হওয়ায় ভোটাররা কাকে বেছে নিবেন সে বিষয়ে প্রচন্ড দ্বিধাগ্রস্ত। যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তাজ মোঃ ইয়াছিন ইতিমধ্যে অনেক টাকা জমা দিয়ে ব্যাংক ঋণ রিশিডিউল করেছেন এবং নাটাই ইউনিয়নের তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হওয়ায় উনার নিকট একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। এদিক দিয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আব্দুল কুদ্দুছ মাখনের ভ্রাতা  হওয়ায় এবং আন্দোলনে অগ্রগামী থাকায় উনার ব্যক্তিগত ভাবে উনি অনেক দুর এগিয়ে আছেন। উনার পরিবারের প্রতিটি সদস্য ওনার পক্ষে মাঠে নেমে পড়েছেন। রাস্তায় বের হলেই চোখে পড়ে পোস্টার সম্বলিত মাইক্রো বাস, প্রাইভেট কার ও হোন্ডা।

মাছিহাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের নাম ডাক নির্বাচন প্রক্রিয়ার শুরুতে প্রচুর শোনা গেলেও এখন তা কিছুটা স্হিমিত। ব্যক্তি জীবনে উনি একজন ধণাঠ্য ব্যক্তি এবং ঢাকায় অবস্থান করেন। দলের র কর্মসূচীতে উনাকে খুব একটা দেখা না গেলেও পোস্টার ব্যানারে উনি এগিয়ে আছেন অনেক দূর। উনার বাড়ি দক্ষিনাঞ্চলে হওয়ায় সাধারণ ভোটাররা দক্ষিণাঞ্চলে এমপির বাড়ি হওয়ায় এখান থেকে দুইজন প্রতিনিধি নির্বাচনে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছক একজন  ওয়ার্ড সভাপতি জানান, প্রার্থী মনোনয়ন ভোটাভোটিতে যাওয়ায় কিছুটা অন্যরকম গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে তিনি এও বলেন, যিনি আমাদের সাথে বিগত দিনগুলোতে এক থেকেছেন, সব সময় যাকে পাওয়া যায়, ব্যক্তি হিসেবে যিনি বির্তকের উর্ধ্বে তাকেই তারা মনোনয়ন দেবেন।

এডঃ মাহবুবুল আলম খোকন স্কুল কাল থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। উনি দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে উনি মাঠ পর্যায়ের সাথে রাজনীতির সাথে যুক্ত। প্রয়াত সাংসদ লৎফুল হাই সাচ্চুর ঘনিষ্ট অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন মাহবুবুল আলম খোকন। সাচ্চু সাহেবের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। দিন রাত চষে বেড়িয়েছেন প্রতিটি ইউনিয়নে, প্রতিটি গ্রামে। সদর উপজেলার এমন কোন গ্রাম নেই  যেখানে খোকনের যাওয়া হয় নাই। ২৩৫ জন ভোটারদের সাথে যদি কোন প্রার্থীর সাথে দীঘদিন ধরে যোগাযোগ থাকে, সুসম্পর্ক থাকে তিনি হলেন মাহবুবুল আলম খোকন। ব্যক্তি জীবনে উনি অনেক ক্ষেত্রেই কলন্কমুক্ত। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের যুবলীগ তথা যুবলীগের সভাপতিদের নানা রকম অপকর্মে, যেমন- জায়গা দখল, অবৈধ তদবির করার কথা শুনা গেলেও এক্ষেত্রে মাহবুবুল আলম খোকন অনেকটাই দাগ মুক্ত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দরপত্র প্রদানকারী অফিসগুলোতে মাহবুবুল আলম খোকনকে কখনও দেখা যায়নি।সবদিক মিলিয়ে খোকনের অবস্থান অনেক সুদুর হলেও শেষ হাসির জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামীকাল ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত।

মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা হচ্ছেন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ শফিকুল আলম, তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন,  মোঃ হেলাল উদ্দিন, মাহবুবুল আলম খোকন, হাবিবুল্লাহ বাহার, জাহাঙ্গীর আলম, শাহআলম, জায়েদুল হক, আশিকুল আলম

ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের মোঃ মহসিন মিয়া, শেখ মোঃ মহসিন, সাংবাদিক মনির হোসেন, মোঃ জাকির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের তাসলিমা সুলতানা খানম, শামীমা আক্তার।






Shares