আখাউড়ার কালী মন্দিরে চুরি। হয়রানির ভয়ে অভিযোগ করা থেকে বিরত হিন্দু সম্প্রদায়
আখাউড়া প্রতিনিধি : আখাউড়ার ধরখার গ্রামের কালী মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা শুক্রবার গভীর রাতে মন্দিরের কাঠের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে। মন্দিরের ভেতরে থাকা একটি কাঠের দানবাক্স, কাসার থালা, কলস, কাসি, শংখসহ পূজার আরো কিছু সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গেছে। মন্দিরের ভেতর অন্যান্য মাটির প্রতিমার সঙ্গে থাকা কার্তিক মুর্তির হাত ও পায়ের অংশ ভাঙ্গা দেখেছেন স্থানীয়রা।
গ্রামের লোকজন ও থানার পুলিশের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সকাল দশটার দিকে রাজ কুমার দাস (৭০) নামের এক ব্যক্তি মন্দিরে প্রণাম করতে গিয়ে দরজা ভাঙ্গার ঘটনাটি দেখেন। পরে লোকজন এসে চুরির ঘটনাটি নিশ্চিত হন। তারা মন্দিরের একটি মাটির মুর্তির হাত ও পায়ের দুইটি স্থানে ভাঙ্গা দেখেছেন। চুরি করার সময় ওই মুর্তির পাশে থাকা জিনিসপত্র নেয়ার সময় চুট লাগতে পারে।
আখাউড়া থানার ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. নূর হোসেন বলেন, বেলা দুইটার পর পুলিশ ঘটনাটি জানতে পারে। একটি প্রতিমার গায়ে চুট থাকলেও ঘটনাটি চুরির ঘটনা। এই গ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুদীর্ঘ কালের। তবে মন্দিরে চুরির ঘটনায় রাত সাতটা পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ আসলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধরখার কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পল্লী চিকিৎসক গৌরাঙ্গ চন্দ্র কর্মকার প্রথম আলোকে বলেন, গ্রামে প্রায় ৬০ ঘর হিন্দু সম্প্রদায়ের। এদের বেশিরভাগই জেলে। মাটির তৈজস তৈরী করে পাল সম্প্রদায় আছে। প্রত্যেকেই নিরীহ। থানা পুলিশ করে হয়রানি হয়, শত্রুতাও বাড়তে পারে। তাই এই বিষয়ে কোন অভিযোগ দেয়ার বিপক্ষে গ্রামের হিন্দুরা।