ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৬ ইটভাটার বিরুদ্ধে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৬টি ইটভাটার বিরুদ্ধে চীফ জুডিশিয়াল আদালতে মামলা করেছে বিএসটিআই, চট্টগ্রাম। সোমবার এই মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে গত শনি ও রবিবার জেলার ৪০টি ইটভাটার বিরুদ্ধে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রামের বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ। ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে ১৬টি ইটভাটার ইট মানসম্মত না হওয়ায়, পণ্যের গুণগত মান যাচাই ব্যতীত ও বিএসটিআই এর লাইসেন্স গ্রহণ/নবায়ন না করে পণ্য বিক্রয় ও বিতরণ করায় “বিএসটিআই অর্ডিন্যান্স ১৯৮৫ এবং সংশোধিত আইন ২০০৩” এর ২৪ ধারার পরিপন্থি এবং ৩১-এ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচ্য হওয়ায় ১৬টি ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। সোমবার অভিযোগগুলো মামলা হিসাবে আমলে নেওয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জিডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরন করা হয়।
অভিযুক্ত ইটভাটা গুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার গোকর্ণঘাটের বন্ধন ব্রিকস্, আশুগঞ্জ উপজেলার বিওসি ঘাটের মেঘনা ব্রিকস্, নাসিরনগর উপজেলার রংগন ব্রিকস্ এন্ড কোং (ইউনিট-১, ২), বিরাসার ব্রিকস্ এন্ড কোং, আশা ব্রিকস্ এন্ড কোং (ইউনিট-১,২), বি.বাড়ীয়া ব্রিকস, সরাইল উপজেলার কল্যাণ ব্রিকস্ এন্ড কোং, নিউ কল্যাণ ব্রিকস্, নিউ সফল ব্রিকস্,বিজয়নগর উপজেলার খান ব্রিকস, খাজা ব্রিকস, আখাউড়া উপজেলার হৃদয় ব্রিকস্ এন্ড কোং, কসবা উপজেলার শোভন ব্রিকস্ এন্ড কোং, এম.এস. ব্রিকস।
বিএসটিআই’র উপ-পরিচালক মোঃ শওকত ওসমান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযুক্ত ইটভাটাগুলোকে তাদের উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান যাচাই ও লাইসেন্স ব্যতীত পণ্য বিক্রয় ও বিতরণ থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে।