Main Menu

কসবা-আখাউড়ায় আওয়ামীলীগে নতুন বছরে নতুন চমক

+100%-

খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী  ঃ কসবার রাজনীতিতে অভিজাত চমক হিসেবে নতুন বছরে নতুন চমক থাকতে পারে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা মাঠে ময়দানে, রাস্তা-ঘাটে বলাবলি করছে বলে বিশেষ সূত্রটি জানান। আজকের কসবা উপজেলার আওয়ামীলীগ, যুব ও ছাত্রলীগের পাশে থেকে যারা সুসংগঠিত করতে কাজ করেছিলেন তাদের অবস্থান কোথায়? এবং শত প্রতিকূল অবস্থাকে উপেক্ষা করে আওয়ামীলীগ, যুব ও ছাত্রলীগ সংগঠনকে শক্তিশালী করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের প্রতিহিংসায় অনেক গুলো মামলা, হয়রানি, যারা বার বার কারা নির্যাতন ভোগ করেছিলেন তারা কোথায়, কি অবস্থায় আছেন দলীয় নেতাকর্মী সহ সচেতন মহলের মাঝে এখন প্রশ্ন উঠেছে। একমাত্র দলকে সুসংগঠিত করতে গিয়ে যারা মিথ্যা মামলায় হয়রানী আর একাধিকবার কারা ভোগের পরও কি কারণে আওয়ামীলীগের ভাইটাল পদ না পাওয়ার বেদনাময় জীবনযাত্রায় ২০১৪ সালের নতুন বছরেই নতুন চমক হিসাবে তারা মূল্যায়ন পেতে যাচ্ছে বলে বিশেষ সূত্রটি জানান। আর এই অজানা কথা নিয়ে আজকের বিশেষ প্রতিবেদন ।
কসবায় আওয়ামীলগের মেরুকরুণ হতে পারে বলেও আলোচনার ঝড় উড়ছে মাঠে ময়দানে, গ্রাম-গঞ্জসহ দোকানপাটে। জিরো থেকে হিরো, গাছ কেটে পানি ঢালা নেতাদের কিছুটা পরিবর্তন এনে দলীয় পরিবেশ রক্ষার্থে মাঠ পর্যায়ের ত্যাগি ও অভিজ্ঞ সংগঠক, আর বার বার কারা নির্যাতন কারী, দলাদলি হানাহানি উর্ধে থেকে একত্রিত রাখা (ধমিয়ে রাখা ) ঐ নেতাদের দলের ভাল জাগায় স্থান  হতে পারে বলে সূত্রটি জানান।
বিগত দিনে আওয়ামীলীগের দলীয় কর্মকান্ড, যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে আর নেতাকর্মীদের জোয়ার ভাটার মতো আস্তে আস্তে দলীয় সাংগঠনিক তৎপরতা আছে আছে নাই নাই। যে কারণে দলীয় পদ দখল করে হালুয়া রুটি খাওয়া আর কানে তুলা দেওয়া নেতাদের  সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের অপতৎপরতা এবং নাশকতা প্রতিরোধে কোন বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে তেমন উল্লেখযোগ্য ঘটনা চোখে পড়েনি বলে সাধারণ জনগণ মাঠে ময়দানে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উড়ছে  বলে বিশেষ সূত্রটি জানান।
উল্লেখ্য যে, আওয়ামীলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত দেশের উচ্চ আদালতের খ্যাতনামা এডভোকেট সিরাজুল হকের হাত ধরে (কসবা-আখাউড়া নির্বাচনী এলাকা) কসবায় ১৯৭৫ সালের পরে ১৯৮০ দশকে কসবায় ছাত্র রাজনিতিতে এসে যারা ছাত্রলীগ সংগঠনকে সুসংগঠিত করেছিল। পরে আবার ঐ যোগ্য নেতৃত্ব আর দক্ষ সংগঠকের গতিধারায় তারাই এডভোকেট সিরাজুল হকের সঠিক দিক নির্দেশন কে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশছাত্রলীগ ও যুবলীগ সংগঠনসহ আওয়ামীলীগকে চাঙ্গা করে দলীয় শক্তি বৃদ্ধি করে দলীয় সংগঠনকে গতিশীল করেছিলেন বলে সূত্রটি জানান। অপরদিকে যারা এডভোকেট সিরাজুল হকের হাত ধরে ছাত্র রাজনিতিতে এসেই তার সঠিক দিক নির্দেশনা কে কাজে লাগিয়ে দলকে গতিশীল করেছিলেন তাদেরকেই উপযুক্ত স্থানে মূল্যায়ন না করার বিষয়টি নেতাকর্মী ও সচেতন মহলের মনে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে সূত্রটি জানান।                                                                                                                                                                                                                কসবা-আখাউড়ায় পদে বহাল থাকা নেতাদের গুনে নয়, আওয়ামীলীগ সংগঠনটি তার স্বনামের গুনে জনগণের মাঝে বেঁচে আছে প্রাণ। দুই উপজেলার সঠিক নেতৃত্বদানকারীদেরকে যোগ্য আসনে স্থান না দেওয়ায় সংগঠনটির সাংগঠনিক তৎপরতা ঝিমিয়ে পড়েছে বলে বিশেষ সূত্রটি তাও জানান। রাজনীতির ঘটনাক্রমে দলের স্বার্থে কসবা-আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলগের কমিটি অচিরেই নড়ে চড়ে দাঁড়াতে পারার বিষয়টি  অভিজ্ঞ ও প্রবীন রাজনীতি ব্যক্তিরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে বিশেষ সূত্রটি জানান।
বিগত দিন গুলোতে অভিভাবকবিহীন আর  যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে সকারবিরোধী প্রতিটি আন্দোনে বর্তমান নেতৃত্বদানকারী নেতারা বিরোধী দলের প্রতিটি আন্দোলনের ভয়ে গাঁয়ে ছালা বেঁধে দুরে থাকতে দেখা গিয়াছে বলে বিশেষ সূত্রটি জানান। অপরদিকে গাঁয়ে ছালা দেওয়া নেতাদের ২০১৪ সালে সাংগঠনিক ভাবে জনপ্রিয় থেরাপিতে পড়তে পারেন বলে প্রবীন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা নাম প্রকাশ না করা শর্তে অভিমত প্রকাশ করেছে বলে সূত্রটি তাও জানান।
১৯৭৫ আর ১৯৮০ দশকের মাঠ পর্যায়ের প্রকৃত ত্যাগি ও যোগ্য সংগঠকরা সকল বাধাকে অতিক্রম করে  যারা বার বার জেল জুলুম,মামলা হামলায় হয়রানী শীকার হয়েও দলে জন্য কাজ করেছেন। কিন্ত  তাদেরকে আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনে উপযুক্ত স্থানে স্থান না দেওয়ায় কসবা-আখাউড়ায় দলমত নির্বিশেষে দিনভর সকলের এক অন্যরকম পরিবেশ ও বিষন্নতার অনুভূতি হয়েছিল বলে বিশেষ সূত্রটি জানান।
বিগত দিনে একটি পকেট কমিটি গঠন কল্পে কসবার রাজনীতিতে অস্থিরতা নেমে আসে। এই পকেট কমিটির প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা আন্দোলন করেও প্রতিকার হয়নি। দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনা হাতে নিয়ে  একের পর এক এই পকেট কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রকৃত সংগঠকদের নেতৃত্ব শূন্য করা ছিল আসল উদ্দশ্য বলে সূত্রটি জানান। আর আসল পরিকল্পনাকারীর  উইকেট পড়ার পরে অপর খলনায়কদের বর্তমানে পায়ের তলা মাটি রাখার জন্য দৌড়ঝাপ করছে বলে বিশেষ সূত্রটি জানান।
তবে কসবা-আখাউড়ায় পকেট কমিটি ব্যতি রেখে  আওয়ামীলীগ সংগঠনের মেরুকরুণের মাধ্যমে মাঠ পর্য়ায়ের যোগ্য ও প্রকৃত সংগঠকদেরকে যোগ্যস্থানে জাগা করে দিলেই কসবা-আখাউড়ায় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক তৎপরতা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধির পাবে আর মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে আওয়ামীলীগ আবার ফিরে পাবে তরতাজা নতুন প্রাণ । বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন,সংগঠন গতিশীল, প্রচার প্রসারসহ জনবল বৃদ্ধির  লক্ষ্যে কসবা-আখাউড়ায় আওয়ামীলীগে মেরুকরণে নতুন বছরেই নতুন চমক থাকবে বলেও বিশেষ সূত্রটি জানান।   






Shares