মৃত্যুও যেন আমাদের আলাদা না করতে পারে…পাশের বেডে মৃত স্ত্রীকে দেখতে দেখতেই মারা গেলেন স্বামী!
শিকাগো: মৃত্যুও যেন আমাদের আলাদা না করতে পারে…
সেলুলয়েডের পর্দায় এধরনের সংলাপ তো আকছার শোনা যায়। কিন্তু বাস্তব জীবনে এমন ঘটনা আদৌ কি ঘটে?
ঘটে, অবশ্যই ঘটে। অন্তত এমনই দৃষ্টান্তের উদারহণ দেখল মার্কিনবাসী। ছয় দশক ধরে বিবাহিত জীবন কাটানো এক দম্পতির মৃত্যুও হল প্রায় একসঙ্গে, সেটাও প্রাকৃতিক নিয়মে!
ঘটনায় প্রকাশ, দক্ষিণ ডাকোটার এক নার্সিং হোমে একই রুমে ভর্তি ছিলেন এক দম্পতি। দুজনই ভিন্ন অসুস্থতায়। কী অদ্ভুত! একজন মারা যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা গেলেন অন্যজন।
৮৭ বছরের প্রৌঢ়া জিনেট ডি লাঞ্জ অ্যালঝাইমার্স রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি মারা যান বিকেল ৫টা ১০ মিনিট নাগাদ। সকলকে অবাক করে এর ঠিক ২০ মিনিট পর মারা যান জিনেটের ৮৬ বছরের স্বামী হেনরি, যিনি প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।
প্রাক্তন সৈনিক হেনরি এবং পেশায় সঙ্গীতশিল্পী জিনেট বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৫৩ সালে। সেই থেকে তাঁদের একসঙ্গে পথ চলা শুরু। তাঁদের পাঁচ সন্তান রয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০১১ সাল থেকেই নার্সিং হোমে ছিলেন জিনেট। প্রতিদিন গড়ে দু-তিনবার স্ত্রীকে দেখতে আসতেন হেনরি। কিন্তু, নিজের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ায় তাঁকেও একই নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। রাখাও হয় একই ঘরে।
একসঙ্গে মা ও বাবাকে হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিধ্বস্ত তাঁদের ছেলেমেয়েরা। যদিও, এক ছেলে জানিয়েছেন, একসঙ্গে চলে যাওয়াটা ঐশ্বরীক ভালবাসার চূড়ান্ত নিদর্শন। তিনি যোগ করেন, সন্তান হিসেবে আপনি এই প্রার্থনা কখনই করেন না। কিন্তু, এর চেয়ে সুন্দর আর কি-ই বা হতে পারে।
আরেক ছেলে জানিয়েছেন, পাশের বেডে থাকা মৃত স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই মারা যান তাঁদের বাবা।
কে বলে, মৃত্যুতে ভালবাসা শেষ হয়ে যায়! জিনেট-হেনরী প্রমাণ করলেন, শুধু জীবন নয়, মৃত্যুর পরও ভালবাসা অটূট থাকে!!!