নুসরাতকে আগুন দেয়ার ঘটনায় জড়িত ৬, পুরো হত্যাকাণ্ডে ১৩ জন: পিবিআই
আলোচনা করে নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা করেছিল আসামিরা। নুসরাতকে আগুন দেয়ার ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল ৬ জন এবং পুরো ঘটনার সঙ্গে ১৩ জন জড়িত ছিল। সরাসরি যুক্ত ৬ জনের মধ্যে ৩ জন ছাত্র এবং ৩ জন ছাত্রী।
আজ শনিবার দুপুর ১ টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিআইজি ও সংস্থাটির প্রধান বনোজ কুমার মজুমদার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অধ্যক্ষ সিরাজের মুক্তির জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে নূর উদ্দিন ও শামীমরা গত ৪ এপ্রিল স্মারক লিপি দেয়। ওইদিনই তারা জেলখানায় গিয়ে দেখা করে অধ্যক্ষ সিরাজের সঙ্গে। সেখানে সিরাজ নূরকে জিজ্ঞেস করে, তোমরা আমার জন্য কি করেছ? এদিন সিরাজ নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার নির্দেশনা দেয়।
আর এই নির্দেশনার পরদিন ৫ এপ্রিল ওই মাদ্রাসার পশ্চিম হোস্টেলে পাঁচ-সাতজন মিলে পরিকল্পনা করে কিভাবে নুসরাতকে হত্যা করা হবে।
বনোজ কুমার মজুমদার জানান, পুড়িয়ে মারার কারণ হিসেবে নূর উদ্দিন বলেছে, অধ্যক্ষকে জেলে পাঠিয়ে আলেম সমাজকে হেয় করা হয়েছে। এছাড়া, শাহাদাত দফায় দফায় নুসরাতকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হওয়াও ছিল নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার আরেকটি কারণ।
পিবিআই প্রধান বলেন, হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে নুরউদ্দিন। জবানবন্দিতে সে বলেছে, অপারেশনে বোরকা পড়া চারজনের মধ্যে দু’জন ছেলে আর বাকি দু’জন মেয়ে ছিল। তারা সবাই ওই মাদরাসার শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে শাহাদাত হোসেন শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর শম্পা বা চম্পা নামের যে ছিল তাকেও গ্রেপ্তার করেছি আমরা।
বনোজ কুমার মজুমদার বলেন, ঘটনার আগেরদিন ৫ এপ্রিল এই হত্যা পরিকল্পনা হয়। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত শাহদাত হোসেন শামীম জানিয়েছে, কিলিং মিশনে অংশ নেয়া একজনকে তিনটি বোরখা ও কেরোসিন কেনার দায়িত্ব দেয়া হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী একজন বোরখা ও কেরোসিন কিনে মাদ্রাসার সাইক্লোন সেন্টারে এনে রাখে। সাইক্লোন সেন্টারে সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ক্লাস হয়। এজন্য পরীক্ষার্থী ছাড়াও বাইরের অনেকেই প্রবেশ করার সুযোগ ছিলো। ওই সুযোগটাই কাজে লাগায় হত্যাকারীরা।