তৃতীয় দফা নির্বাচনে আর থাকছে না বিএনপি
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় অংশ নিলেও তৃতীয় দফা নির্বাচনে আর থাকছে না বিএনপি। ইউপি নির্বাচনে না থাকা নিয়ে দল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বাকি শুধু চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সম্মতি। এ বিষয়ে রোববার রাতে শীর্ষ নেতারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অধ্যাপক. ড. এমাজউদ্দীন আহমদ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘বিএনপি আগামী দিনে কি করবে, না করবে আজ একটি দিক নির্দেশনা আসবে। এ ছাড়া আগামী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করছে না তা প্রায় চূড়ান্ত করতেই মূলত বৈঠক।’
‘আজকে অপেক্ষা করুন, আশা করি রাতেই জানতে পারবেন আগামী দিনে বিএনপি কী করবে- যোগ করেন এমাজউদ্দীন।
এদিকে রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চলমান সহিংসতা ও ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে তা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
রিজভী বলেন, ‘দু’দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেই সরকারি দলের ভোট ডাকাতি ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায়। নির্বাচন কমিশন ভোট ও ভোটারদের রক্ষক না হয়ে ভক্ষক হয়ে নিজেরাই জাল ভোটের উৎসবে মেতে উঠেছে। অনেক কেন্দ্রে দেখা গেছে প্রিসাইডিং অফিসাররা ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভরে দিচ্ছেন। অনেক কেন্দ্রে পুলিশকে ভোট দিতে দেখা গেছে।’
আগামী ইউপি নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে কি না সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘এ ব্যাপারে আজ শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বসছেন। পরবর্তী সিদ্ধান্ত আপনাদের (সাংবাদিকদের) জানানো হবে।’
অন্যদিকে রাজধানীর পুরানা পল্টনে অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে রোববার দুপুরে এক আলোচনা সভায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও ব্যাপক সহিংসতার পর এ নির্বাচনে বিএনপির আর থাকা ঠিক হবে কি-না, আলোচনা করে সে ব্যাপারে আজ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির কিছু করা লাগে না। তারা (আওয়ামী লীগ) নিজে নিজেরাই লড়াই করে ৪২ জন মেরে ফেলেছে। এই খুন-অনাচার-ভোট কারচুপি, এটা আমাদের জন্য সম্মানজনক না। ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল, বিএনপির প্রার্থীদের বিজয় ছিনিয়ে নেয়া ও সহিংসতার পর আমাদের জন্য ভোটে থাকা কতটা সম্মানজনক হবে, আলোচনা করে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’