এ বছর একসাথে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে, ফলাফলে ছেলের চেয়ে এগিয়ে মা
একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া সেই মা-ছেলে দুজনেই পাস করেছেন। মা মলি রাণী পেয়েছেন জিপিএ-৪.৫৩ এবং ছেলে মৃন্ময় কুমার কুণ্ডু পেয়েছে জিপিএ-৪.৪৩। দুজনই কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেন।
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় মা মলি বাগাতিপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ড্রেস মেকিং অ্যান্ড টেইলারিং ট্রেড এবং ছেলে মৃন্ময় বাগাতিপাড়া মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বিল্ডিং মেইনটেনেন্স ট্রেডের শিক্ষার্থী ছিলেন। একসঙ্গে পাস করায় মা-ছেলে উভয়ে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন।
বয়সের বাধাকে উপেক্ষা করে ৩৫ বছর বয়সে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন মা মলি রাণী কুণ্ডু।
তিনি জানান, নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবা নঁওগা জেলার মান্দা উপজেলার প্রসাদপুরের অসিত কুণ্ডু তাকে বিয়ে দেন। এরপর আর পড়ালেখা করার সুযোগ হয়নি। সংসারের চাপে গৃহিণীই রয়ে যান। এরই মধ্যে দুটি সন্তানের জন্ম দেন। বড় ছেলে মৃন্ময় কুমার কুণ্ডু এবং ছোট ছেলে পাপন কুণ্ডু। ছেলেদের পড়ালেখা করাতে গিয়ে তিনি অনুভব করেন তার নিজের পড়ালেখা জানা দরকার। সেই ভাবনা থেকেই স্কুলে ভর্তি হন।
চলতি বছর মা ও ছেলে একই বইয়ে পড়ালেখা করে বাগাতিপাড়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দেন।
মলি রাণী উপজেলার গালিমপুরের মিষ্টি ব্যবসায়ী দেবব্রত কুমার মিন্টুর স্ত্রী।
ছেলের চেয়ে ভাল ফলাফল করায় উচ্ছ্বসিত মলি রাণী বলেন, ভবিষ্যতেও তিনি পড়ালেখা অব্যাহত রাখবেন।
মৃন্ময় কুমার কুণ্ডু জানায়, তার মায়ের পরীক্ষার ফলে সে অনুপ্রাণিত হয়েছে। সে চেষ্টা করবে যাতে ভবিষ্যতে আরও ভালো ফলাফল করা যায়।
মিষ্টি ব্যবসায়ী দেবব্রত কুমার মিন্টু জানান, তার স্ত্রীকে সংসারের যাবতীয় কাজ করতে হয়। তারপরেও স্ত্রীর এই ফলাফলে তিনি ভীষন খুশি।