Main Menu

অভিনেতা ফরিদ আলী আর নেই

+100%-

1471898070556অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আলী আর নেই। রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে সোমবার বিকেল ৪টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন(ইন্না লিল্লাহী…রাজেউন)। ফরিদ আলীর ছোট ছেলে ইমরান আলী জয়  এ খবর নিশ্চিত করেন।

মুত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। জয় বলেন, গত ১৯ আগস্ট আমরা বাবা ও মায়ের ৪১ তম বিবাহবার্ষিকীর আয়োজন আয়োজন করছিলাম।

এদিন সন্ধ্যায় হঠাৎ বাবা চিৎকার করে ওঠে। তার সারা শরীর ঘামতে থাকে। সাথে সাথে আমরা বাবাকে ওয়ারী বার্ডেম হাসপাতালে নিয়ে যাই।

ওইখানের ডাক্তাররা বাবার আগের প্রেসক্রিপশন দেখে। কয়েক মাস আগে বাবার চিকিৎসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে হয়েছিল।

ডাক্তাররা সেই প্রেসক্রিপশন দেখে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। বাবাকে ওই দিনই সেখানে ভর্তি করানো হয়। বাবাকে ওখানে সিসিইউতে রাখা হয়েছিল। সোমবার বিকেল ৪টায় তিনি মারা যান।

একাডেমীক শিক্ষায় তেমন অগ্রসর না হয়েও তিনি অভিনয় জগতে দেখিয়েছেন পারদর্শিতা। কৌতুক অভিনয়ে তিনি দর্শকমনে এখনও দাগ কেটে রয়েছেন।

বিশেষ করে ‘ টাকা দেন দুবাই যাব, বাংলাদেশে থাকবো না’ এই সংলাপটির সাথে যারা পরিচিত তারা এক বাক্যেই উচ্চারণ করবেন অভিনেতা ফরিদ আলীর নাম।

শুধুমাত্র অভিনয় নয়, নাটক লেখা ও নির্দেশনায়ও সিদ্ধ হস্ত ছিলেন এই শিল্পী। শহীদুল আমীনের লেখা ‘কনে দেখা’ নাটকে একটি মাত্র নারী চরিত্রে অভিনয় করে ১৯৬২ সালে তিনি অভিনয় যাত্রা শুরু করেন। অসংখ্য মঞ্চ নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন।

প্রফেসর মুনীর চৌধুরীর লেখা ‘একতলা দোতলা’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৬৪ সালে তিনি প্রথম টিভিতে দৃশ্যমান হন। তার নিজের লেখা প্রথম টিভি নাটক হলো-‘নবজন্ম’।

অভিনেতা ফরিদ আলীর চলচ্চিত্রে পদার্পন ১৯৬৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘ধারাপাত’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। তখন থেকে একাধারে বহু ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য জীবন তৃষ্ণা, শ্লোগান, চান্দা, দাগ, অধীকার ইত্যাদি।






Shares