সাধারণ সম্পাদক থাকছেন না সৈয়দ আশরাফ!
আসছে ২৮ মার্চ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। আর এবার দলে বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে পারে নতুন মুখ। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নাকি আর এই দায়িত্বে থাকতে চাচ্ছেন না। সূত্র মতে, শেষ পর্যন্ত সৈয়দ আশরাফ পদে বহাল থাকতে রাজি না হলে নতুন মুখ আনতে পারেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এখন পর্যন্ত সৈয়দ আশরাফই শেখ হাসিনার সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও প্রিয় ব্যক্তি।
২৮ মার্চকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় সম্মেলনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বলে জানা যায়। এর আগেই সব জেলা কমিটির সম্মেলন শেষ করার জন্য দলীয় সভানেত্রী কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিসহ উপ-কমিটিগুলো গঠনের কার্যক্রম এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। আর বাকি মাত্র দুই মাস। এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতাদের সব কমিটি গঠন করতে হবে।
এদিকে দলের সভাপতি হিসেবে যথারীতি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতির পদটি নিশ্চিতই। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে কে আসছেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। অবশ্য কারা কারা এ পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাদের একটা তালিকা শেখ হাসিনার হাতে এসেছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ সাধারণ সম্পাদক কে হতে যাচ্ছেন সে ব্যাপারে শেখ হাসিনা আগে থেকেই চিন্তা ভাবনা করে রেখেছেন বলেই মনে করা হয়। তবুও চলছে দলের ভেতরে আলোচনা। শেষ পর্যন্ত সৈয়দ আশরাফ সরে দাঁড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করলে খুঁজে বের করতে হবে আরেকজন দক্ষ, যোগ্য, ত্যাগী ও বিশ্বস্ত সাধারণ সম্পাদক। আর মাত্র তিন বছর বাকি। এরপরেই সাধারণ নির্বাচন। সুতরাং দলের ভবিষ্যৎ সাধারণ সম্পাদকের ঘাড়ে পড়বে বিরাট দায়িত্বের বোঝা।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেয়ার পর গুঞ্জন উঠেছিল আগামীতে তাকে দলের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকেও সরিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি পর নতুনরূপে আত্মপ্রকাশ করেন সৈয়দ আশরাফ। বিশেষ করে গত বছরের আগস্ট মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে একটানা ৪০ দিনব্যাপী কর্মসূচিতে একদিনে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেছে তাকে। এছাড়া দলের দুর্দিনে রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার সঙ্গে দলের হাল ধরতে দেখা গেছে। ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই এবং ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
তবে পর্যবেক্ষকমহল মনে করছেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ আগামী নির্বাচনের আগে দলকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে আসতে পারবেন কি না সংশয় রয়েছে! তাছাড়া তার শারীরিক অবস্থাও নাকি খুব একটা ভালো যাচ্ছে না।
দলটির কয়েক জন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে আবারও সাধারণ সম্পাদক করা হলে দলে কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক পদ সৃষ্টির চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। তবে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। এ প্রস্তাব নিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে শিগগির আলোচনা হতে পারে।
যতটুকু জানা যায়, সৈয়দ আশরাফ থাকতে না চাইলে বা না রাখা হলে তার পরিবর্তে এক নম্বরে যার নাম রয়েছে তিনি হলেন সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। স্বাধীনতার পরপর ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটিতে দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন। ওই সময় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন শেখ শহীদুল ইসলাম। সাংগঠনিক কাজে ওবায়দুল কাদেরের ভালো দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাছাড়া শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদে তিনি জনপ্রিয় মন্ত্রী হিসেবে পরিচিত। তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারা বাংলাদেশে চলছে উন্নয়নের কর্মসূচি। বিশেষ করে পদ্মাসেতু, রাজধানীর ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেল ইত্যাদি।
এসব কারণে ওবায়দুল কাদেরকে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। যদিও ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব না নেয়ার কথা একসময় গণমাধ্যমে বলেছিলেন। তবে শেখ হাসিনা চাইলে তিনি যে না করবেন না এটাও জানা কথা।
সাম্প্রতিক পৌরসভা নির্বাচনসহ সাংগঠনিক কার্যক্রমে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। পদপদবি না পাওয়া মনঃক্ষুণ্ন সাবেক ছাত্রনেতাদের রাজনীতির মাঠে সক্রিয় করছেন তিনি। দলের নেতারা বলছেন, ওবায়দুল কাদেরের সক্রিয়তা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। সম্প্রতি দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবউদ্দিন ফরায়েজির কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতেও তৃণমূলে ছুটে গেছেন তিনি। ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ছেলের মৃত্যুতে শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়ান তিনি। তাই তাকে নিয়ে অনেকেই আশাবাদী।
এই পদে আরো যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে আছেন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম মুক্তাদির চৌধুরী এবং কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। রবিউল আলমকে সাধারণ সম্পাদক করা না হলে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অথবা সাংগঠনিক সম্পাদক করা হতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন। তিনি ছিয়ানব্বইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব ছিলেন। এছাড়া স্বাধীনতা পরবর্তিতে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। একজন বিসিএস ক্যাডার হিসেবে তিনি বেশ কয়েক বছর সরকারি চাকরি করেছেন। খালেদা জিয়ার সরকার তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায়।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বা সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের নাম সামনে এলেও তাদের কারো ওপর এই গুরুদায়িত্ব দেয়ার সম্ভবনা কম বলেই মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। কারণ ইতিমধ্যে মাহবুবউল আলম হানিফের বিভিন্ন বক্তব্য ও কার্যকলাপ প্রধানমন্ত্রী ভালো চোখে দেখেননি বলে শোনা যায়। তাছাড়া নিজ এলাকায় তিনি ততটা গ্রহণযোগ্য নন।
অন্যদিকে ড. আবদুর রাজ্জাক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকায় আলোচনায় আসেন। তবে মন্ত্রী হওয়ার আগে সাধারণ জনগণের কাছে খুব একটা পরিচিত ছিলেন না। তার অতীত রাজনৈতিক কার্মকাণ্ড তৃণমূলের কাছে প্রায় অজানা।
এসব কারণে উপরোক্ত দুই নেতার ওপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব না দেয়ার সম্ভবনাই বেশি।
সৈয়দ আশরাফ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছের মানুষ ও আস্থাভাজন হলেও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে তিনি বিশেষ অবদান রাখতে পারেননি বলে তার সমালোচকেরা মনে করেন। এখন যদি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তবুও তাকেই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বহাল রাখার চিন্তা করেন তাহলে দলের বর্তমান স্থবিরতা কাটবে না। দলকে চাঙা করে তুলতে হলে শুধু সাধারণ সম্পাদক নয় পুরো কেন্দ্রীয় কমিটিকে নতুন করে সাজানো দরকার বলে মনে করেন নেতাকর্মীরাই।
সুতরাং শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আসছে সম্মেলনে সৈয়দ আশরাফের বিকল্প এখন জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া তিনি নিজেও নাকি এই পদে না থাকার জন্য দলীয় সভানেত্রীর কাছে অনুরোধও জানিয়েছেন বলে একটি সূত্রে জানা যায়।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহযোগী ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর ছেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নাম নিয়েও চলছে আলোচনা। তিনি বিগত কয়েক বছর ১৪ দলের সমন্বয়ক হিসেবে বেশ দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৪ দলকে নিয়ে মাঠের কর্মসূচিতে সফল তিনি।
তবে তার শারীরিক অবস্থার কারণে এত বড় দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে তিনি কতটুকু সচেষ্ট হবেন সে ব্যাপারে সংশয় রয়েছে। তিনি ওয়ান ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার হয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
অন্যদিকে অনেকে মনে করছেন সবাইকে অবাক করে দিয়ে শেখ হাসিনা তার বিশ্বস্ত কোনো নারী নেত্রীর ওপরও এই দায়িত্ব দিতে পারেন। তবে কে সেই নারী যার পক্ষে এতবড় দায়িত্ব ঘাড়ে নেয়া সম্ভব?
তবে আপাতদৃষ্টিতে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পরিবর্তে যদি সত্যি সত্যি কোনো নতুন মুখকে আনতে হয় তাহলে তাকে অবশ্যই প্রকৃত আওয়ামী লীগার হতে হবে। অন্য দল থেকে আওয়ামী লীগে আসা কোনো নেতা নয়। অন্য রাজনৈতিক দল থেকে আওয়ামী লীগে আসা কোনো ব্যাক্তির ওপর দলের সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব তুলে দিলে তৃণমূলে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে।
সৈয়দ আশরাফের পরিবর্তে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নাম রয়েছে সবার উপরে। শেষ পর্যন্ত তিনিই হতে পারেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি সাধারণ সম্পাদক হলে তার ঘনিষ্ট রাজনৈতিক বন্ধু ও সাথী রবিউল আলম মুক্তাদির চৌধুরীকে যুগ্ম সাধারণ অথবা সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ দেয়া হতে পারে। তারা দু’জনে খুব কাছের মানুষ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। স্বাধীনতা পরবর্তীতে দু’জনই একসাথে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে কাজ করেছেন।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বাংলামেইলকে বলেন, যিনি নেত্রীর বিশ্বস্ত তাকেই তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিবেন। আর সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তিনবার বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। এরপর নেত্রী যাকে এ পদের যোগ্য মনে করবেন তাকেই দায়িত্ব দিবেন।
তিনি আরো বলেন, অনেকের নাম জল্পনা-কল্পনায় শুনা যাচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে আমার কাছে সঠিক কোনো তথ্য নাই।
দলের আরেক সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য নূহ উল আলম লেনিন এই বলেন, জাতীয় সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণার পর থেকেই নেতাকর্মীদের মানসিক প্রস্তুতি চলছে। সাধারণ সম্পাদকের মতো দায়িত্বশীল পদে কোনো পরিবর্তন হবে কি না তা জানার জন্য ২৮ মার্চ পর্যন্তই অপেক্ষা করতে হবে। এ নিয়ে আগাম কিছু বলা যাবে না। কারণ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই দায়িত্ব দেবেন।
এদিকে দলে এবার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকুল বোসের ফিরে আসার সম্ভবনা রয়েছে। সংস্কারপন্থি অভিযোগে তাকে অনেকদিন থেকেই দলের সব কার্যক্রম থেকে দূরে রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগের দু’জন প্রভাবশালী নেতা মুকুল বোসকে দলে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বলে একটি সূত্রে জানা যায়।
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ঘনিষ্ট সহচর, স্বাধীনতার পরে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মমতাজ হোসেনকে দলে গুরত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে না হলেও ঢাকা মহানগর কমিটিতে তিনি দায়িত্ব পেতে পারেন। এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরে ঢাকায় ছাত্রলীগের গোপনীয় আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
স্বাধীনতার পরে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী দীপংকর তালুকদারকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রাখা উচিত বলে আওয়ামী লীগের অনেকেই মনে করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা নেয়ার জন্য প্রথম হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন। এধরনের একজন পরীক্ষিত নেতাকে দলের বাইরে রাখা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত তা ভেবে দেখা উচিত বলে দলের শুভাকাঙ্ক্ষীরা মনে করেন।
এক সময় ছাত্র ইউনিয়নে সক্রিয় নুহ আলম লেনিনকে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রাখা হলেও একই সময়ের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডিং কাউন্সিলের নির্বাচিত ভাইস চেয়ারমেন ইসমত কাদির গামাকে কেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হয়নি এই প্রশ্ন আজ অনেকেরই।
আসছে ২৮ মার্চ আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাদের দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখার দাবি জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সৈনিকরা। তারা মনে করেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকবে প্রকৃত আওয়ামী লীগার, অন্য দল থেকে ছুটে আসারা নয়। এখন দেখা যাক বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসছে সম্মেলনে দলে কী ধরনের পরিবর্তন আনেন। দলের নেতাকর্মীরা আজ সেদিকেই তাকিয়ে আছে।