বুধবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মিরাজ



আজ মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামীকাল বুধবার দিবাগত রাতে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে পবিত্র শবে মিরাজ উদযাপিত হবে।
এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আগামীকাল বাদ আসর বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে লাইলাতুল মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক এক ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
সেখানে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মহিউদ্দিন কাসেম মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিষয়ে আলোচনা করবেন। এতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলাম সভাপতিত্ব করবেন।
লাইলাতুল মিরাজকে শবে মিরাজ বলা হয়। এই রাতে হজরত মুহাম্মদ (সা.) ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেন এবং স্রষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন। অনেক মুসলমান ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে এই রাতটি উদযাপন করেন।
ইসলামে মিরাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, কেননা এই মিরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ, মুসলমানদের জন্য আল্লাহর তরফ থেকে প্রিয় নবী (সা.) নিয়ে আসেন। এই রাতেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়।
ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী হজরত মুহাম্মদের (সা.) নবুওয়াত লাভের একাদশ বৎসরের (৬২০ খ্রিষ্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত রাতে মুহাম্মদ (সা.) প্রথমে কাবা শরিফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় গমণ করেন এবং সেখানে তিনি নবীদের জামায়াতে ইমামতি করেন।
অতঃপর তিনি বোরাক নামক বিশেষ বাহনে উঠে ঊর্ধ্বলোকে গমণ করেন। ঊর্ধ্বাকাশে সিদরাতুল মুনতাহায় তিনি আল্লাহ’র সাক্ষাৎ লাভ করেন। এই সফরে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) তার সফরসঙ্গী ছিলেন।