বিএনপির কাউন্সিল :: নানা পরিবর্তন আসছে গঠনতন্ত্রে, বাড়ছে কেন্দ্রীয় কমিটির কলেবর
রিজভী আহমেদ:: বিএনপির প্রত্যাশার কাউন্সিল চলছে। নানা প্রতিকূলতা, আন্দোলন ও দমন-পীড়নে জর্জরিত দলটির জন্য এ হবে এক মহা মিলনমেলা। পঞ্চম কাউন্সিলের পর কেটে গেছে ছয়টি বছর। একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও জাতীয় কাউন্সিল করতে পারেনি দলটি। এবারো নানা অনিশ্চয়তা ভর করেছিল, তবে সবকিছু পেছনে ফেলে ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রত্যয়ে’ ষষ্ঠ কাউন্সিলের পতাকা আজ উড়ছে। প্রস্তুত কাউন্সিল ভেনু ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। রাজধানীতে নেমেছে নেতাকর্মীদের ঢল, সবখানেই সাজ সাজ রব। সকাল ১০টায় কাউন্সিলের উদ্বোধন করবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, জাতীয় সঙ্গীত ও দলীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হবে উদ্বোধনী পর্ব। কাউন্সিলর, ডেলিগেট, আমন্ত্রিত অতিথি ও উৎসুক নেতাকর্মী সব মিলিয়ে উপস্থিতি ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে দলটির নেতারা ধারণা করছেন। কাউন্সিলর ও আমন্ত্রিত অতিথিরা বসবেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ভেতরে। ডেলিগেটরা থাকবেন ইনস্টিটিউশনের পাশ ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরের অংশে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছাড়াও লন্ডন থেকে ভিডিও বক্তব্য দেবেন দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মধ্যাহ্নভোজ শেষে বেলা ৩টায় হবে রুদ্ধদ্বার দ্বিতীয় অধিবেশন। এতে আলোচ্যসূচিতে রয়েছে- শোক প্রস্তাব উপস্থাপন, দলের চেয়ারম্যান ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির রিপোর্ট পেশ, মহাসচিবের সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা, দলের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র সংশোধন।
গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আসছে, কলেবর বাড়ছে কেন্দ্রীয় কমিটির : কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে গঠনতন্ত্রে নানা সংশোধনী আসছে। বাড়ছে কেন্দ্রীয় কমিটির কলেবর। এবার নির্বাহী সংখ্যা পাঁচ শ’ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে দলটির নেতারা অনেকটাই নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে দলের বিদায়ী জাতীয় স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিএনপির গঠনতন্ত্রের ১১ ধারা অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাহী কমিটি অনূর্ধ্ব ৩৫১ জন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হবে। কর্মকর্তা বা সদস্যদের সংখ্যা নিরূপণে দলের চেয়ারম্যান বিশেষ ক্ষেত্রে পরিবর্তন করতে পারবেন, কিন্তু মোট সদস্যসংখ্যা ৩৫১ জনের ঊর্ধ্বে দশ শতাংশের বেশি বাড়ানো যাবে না। এই দশ শতাংশ বাড়িয়ে বর্তমানে কমিটি আছে ৩৮৬ সদস্যের।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ১৫টি বিষয়ভিত্তিক উপকমিটি গঠন করা হবে, যাতে জায়গা হবে দেড় থেকে দুই শ’ নেতাকর্মীর। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় নেতা হবেন হাজারখানেক। যদিও উপকমিটিগুলোর নেতা কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতা নয়, তবে কমিটির আহ্বায়ক কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সদস্যরা নির্বাহী কমিটির সদস্যের সমমর্যাদার হবেন।
সূত্র মতে, নির্বাহী কমিটির সদস্যরা কেউ জেলা বা থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে পারবেন না। তবে অন্য পদে থাকতে পারবেন। এক নেতার একাধিক পদকে নিরুৎসাহিত করতে এ ধারাটি অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে গঠনতন্ত্রে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নয়া দিগন্তকে বলেন, নির্বাহী কমিটির সদস্যসংখ্যা কত হবে, তা নির্ধারণ করবেন কাউন্সিলররা। আজকের কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে রুদ্বদ্ধার বৈঠকে এ ব্যাপারে কাউন্সিলররা অনুমোদন দিলেই বলা যাবে, কমিটির পরিধি কী হবে। তিনি বলেন, বিষয়ভিত্তিক উপকমিটি গঠনের বিষয়টি গঠনতন্ত্রে আছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে জিয়াউর রহমান এটি অনুসরণ করেছেন। পরে তা আর হয়নি। কাউন্সিলরা চাইলে এবার তা হতে পারে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘোষণাপত্রে কিছু পরিবর্তন আসছে। সংখ্যালঘুদের জানমালের নিরাপত্তা বিধান এবং জঙ্গিবাদ দমনে দলের সুস্পষ্ট বক্তব্য থাকবে।
দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠক সূত্র বলছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পাশাপাশি ‘বিএনপির উপদেষ্টা’ নামে আরেকটি ফোরাম হবে, যেখানে বিএনপি সমর্থক বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাজীবীরা থাকবেন, যারা নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের পদমর্যাদার হবেন। এর বাইরে ভাইস চেয়ারম্যানের সংখ্যা ১৭ থেকে বেড়ে ৩৫ হবে। এবার চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার সংখ্যা হবে ৫০-এর অধিক। এ উপদেষ্টারাও ভাইস চেয়ারম্যান পদমর্যাদার। যুগ্ম মহাসচিব হবেন নয়জন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ১১ জন। প্রতি বিভাগে দুইজন করে মোট সহসাংগঠনিক হবেন ২২ জন।
জানা গেছে, প্রস্তাব ছিল সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদটি বিলুপ্ত করার। কিন্তু তা আমলে নেননি কমিটির কেউ। অতিরিক্ত মহাসচিব পদ সৃষ্টির প্রস্তাব থাকলেও তা নাকচ করা হয়।
মূল প্রতিপাদ্য ‘মুক্ত করবোই গণতন্ত্র’
বিএনপির এবারের কাউন্সিলের মূল প্রতিপাদ্য ‘মুক্ত করবোই গণতন্ত্র।’ স্লোগান-‘দুর্নীতি দুঃশাসন হবেই শেষ, গণতন্ত্রের বাংলাদেশ।’ কাউন্সিল উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তৈরি করা হয়েছে লোগো, ওয়েবসাইট ও থিম সং। বিএনপির ১১টি সহযোগী সংগঠনও ভিন্ন ভিন্ন স্লোগানে পোস্টার তৈরি করেছে। স্লোগানগুলো হচ্ছে : যুব দল-‘তারুণ্যে যারা অকুতোভয়, তারাই আনবে সূর্যোদয়’, কৃষক দল- ‘ফলাবো ফসল, গড়বো দেশ, গণতন্ত্রে বাংলাদেশ’, মুক্তিযোদ্ধা দল- ‘মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র, মুক্ত করো গণতন্ত্র’, শ্রমিক দল- ‘শ্রম দিয়ে শিল্প গড়বো, দেশের আঁধার ঘুচিয়ে দেবো’, মহিলা দল- ‘চেতনায় নারী, বিপ্লবে নারী, গণতন্ত্র ফেরাতে আমরাই পারি’, ছাত্র দল- ‘বাঁচতে চাই, পড়তে চাই, দুর্নীতিমুক্ত দেশ চাই’, স্বেচ্ছাসেবক দল, ‘আলোর দিন দূরে নয়, করতে হবে আঁধার জয়’, জাসাস-‘গাইবো মোরা গণতন্ত্রের গান, দুঃশাসনের হবেই অবসান,’ তাঁতী দল- ‘শক্ত হতে বাঁধো তাঁত, কাটাতে হবে আঁধার রাত’, মৎস্যজীবী দল- ‘জালের টানে ঘুচবে আঁধার, বাংলাদেশ সবার’ এবং উলামা দল- ‘জিয়ার আদর্শে দেশ গড়বো, ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় রাখবো’।
কাউন্সিল উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকালও নেতাকর্মীদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে। বরাদ্দের চাইতে বেশি ডেলিগেট কার্ড সংগ্রহের জন্য রাত অবধি বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলাপর্যায়ের নেতারা এবং বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা দৌড়ঝাঁপ করেছেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের দৃশ্যও পাল্টে গেছে। পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে কার্যালয়ের আশপাশ। কারাবন্দী ও সিনিয়র নেতারা ছবি দিয়ে কাউন্সিলকে স্বাগত জানিয়ে বিশাল ব্যানার টাঙিয়েছেন। পাঁচতলাবিশিষ্ট কার্যালয় ঢেকে দেয়া হয়েছে কাউন্সিলের বিশাল ব্যানারে। এতে লেখা রয়েছে এবারের কাউন্সিলের মূল প্রতিপাদ্য ‘মুক্ত করবোই গণতন্ত্র।’ এ ছাড়া ব্যানারে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছোট প্রতিকৃতিও স্থান পেয়েছে।
যেসব বিদেশী অতিথি এসেছেন : আজকের কাউন্সিলে বিদেশী অতিথি হিসেবে যোগ দিচ্ছেন যুক্তরাজ্য লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এমপি ফিলিপ বেনিয়ন ও স্বতন্ত্র এমপি সাইমন ড্যানজাক, শিকাগো সিটির ওল্ডারম্যান জোসেফ মুর (যিনি শিকাগোতে শহীদ জিয়াউর রহমান ওয়ের উদ্যোগ নিয়েছিলেন) এবং মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেত্রী বারবারা মুর।
সাতটি বই প্রকাশ
ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে স্যুভেনিরসহ সাতটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে কাউন্সিল উপকমিটি প্রকাশিত এই সাতটি বই হচ্ছে : উন্নয়ন ও অর্জনে বিএনপি, শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান, দেশবাসীর প্রতি দেশনেত্রী, শোকার্ত স্বদেশ : আরাফাত রহমান কোকো, ইরোশন অব ডেমোক্র্যাসি ইন বাংলাদেশ, রাইট অব লাইভ : এ ফার ক্রাই ইন বাংলাদেশ ২০০৯-২০১৬, এ ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি টু কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড এক্সট্রিমিজম।
এ ছাড়া কাউন্সিল উপলক্ষে আ ন ম এহছানুল হক মিলনের লেখা ‘যুগনায়ক জিয়া’, আবদুল হাই শিকদারের লেখা ‘তারেক রহমান এবং বাংলাদেশ’, শায়রুল কবির খান সম্পাদিত ‘সাদা চোখে : পত্রিকার পাতা থেকে’ এবং রুহুল আমিনের লেখা বেগম ‘খালেদা জিয়া : বিএনপি ও বাংলাদেশ’ গ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে পুরানা পল্টনে জামান টাওয়ারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে এই মোট ১১ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
আবদুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, উপকমিটির সদস্য আবদুল হাই শিকদার, মোহাম্মদ রেদোয়ান আহমেদ, মোশাররফ হোসেন ঠাকুর, মনিরুজ্জামান মনির, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে : রিজভী
বিএনপির কাউন্সিল ঘিরে সারা দেশের নেতাকর্মী ও কোটি কোটি সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের ওপর এই কাউন্সিলকে ঘিরে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। কাউন্সিল সফল করতে গঠিত সব উপকমিটি তাদের কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন করেছে।
রিজভী বলেন, শঙ্কিত ছিলাম শুধু ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে স্থান সঙ্কুলান হবে কি না। কাউন্সিলের জন্য ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের পাশের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুমতি দেয়ায় কর্তৃপক্ষকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এই কাউন্সিল সফলতার সাথে সম্পন্ন হয়ে আগামী দিনের গণতান্ত্রিক আন্দোলন আরো বেগবান হবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করি। ভঙ্গুর গণতন্ত্রের এই দেশে মানুষের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনতে দেশের সংগ্রামী মানুষ যে আজ ঐক্যবদ্ধ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আস্থাশীল, তা ইতোমধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহদফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।
কাউন্সিলের ইতিহাস : পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিএনপির প্রথম কাউন্সিল হয় ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার রমনা বটমূলের খোলা চত্বরে। ডা: বদরুদ্দোজা চৌধুরী হন প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব। দ্বিতীয় কাউন্সিল হয় ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সেই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার এবং ডা: বদরুদ্দোজা চৌধুরী হন মহাসচিব। তার আট বছর পর ১৯৮৯ সালের ৮ ও ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় দলটির তৃতীয় কাউন্সিল। সেই কাউন্সিলে বেগম খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন এবং ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার হন মহাসচিব। ১৯৯৩ সালের ১, ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপি চতুর্থ কাউন্সিল করে। সেই কাউন্সিলে খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন ও আব্দুল মান্নান ভুঁইয়া মহাসচিব হন। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর পঞ্চম কাউন্সিলে খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন ও খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন হন বিএনপির মহাসচিব। এর তিন বছর পর আবারো কাউন্সিল করার কথা থাকলেও তা করতে পারেনি বিএনপি। শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ষষ্ঠ কাউন্সিল।