নিয়মনীতি ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে কওমি মাদ্রাসা
কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দেশে পরিচালিত হচ্ছে পনেরো হাজারেরও বেশী কওমি মাদ্রাসা। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মাতৃভাষার ব্যবহার নেই বললেই চলে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। শর্ত মানবেন না বলে তারা গ্রহণ করছে না কোনো সরকারি সুবিধাও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের স্বার্থেই এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে সরকারি নজরদারির আওতায় আনা জরুরি। এক্ষেত্রে শর্তহীনভাবে সব সুবিধা দিতে সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
গভীর মনোযোগে ক্লাসরুমে আরবি শিখতে ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও দেশে প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে বাংলা উপেক্ষা করে কওমি মাদরাসাগুলোতে পড়ানো হচ্ছে শুধু আরবি-ফার্সি কিংবা উর্দু ভাষাতেই।
জাতীয় শিক্ষানীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানে কখনোই গাওয়া হয় না জাতীয় সংগীত, ওড়ানো হয় না জাতীয় পতাকাও। ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ্যসূচিতে নামমাত্র বাংলাসহ কিছু সাধারণ বিষয় থাকলেও ওপরের ক্লাসগুলোতে তা আর খুঁজে পাওয়া যায় না।
সরকারী কোন সহায়তা নিতেও নারাজ এ মাদ্রাসাগুলো। পাছে কিনা আবার সরকার কোনো শর্ত জুড়ে দেয়, এ যুক্তিতে। এমন তথ্যই জানান বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল জব্বার।
তবে শিক্ষানীতি মেনে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আর এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমরা তাদের সকল প্রকার সহায়তা দেয়ার জন্য তৈরি আছি।
দেশ যখন তথ্য-প্রযুক্তিতে সফলতা লাভ করে শতভাগ ডিজিটালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখনো দেশের একটি বড় অংশ যদি দ্বীনি শিক্ষার কথা বলে আধুনিক শিক্ষাকে দূরে সরিয়ে রাখে, তাহলে তা দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।