কসবায় শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পুর্ব শত্রুতার জেরে রাতের আধারে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের হাজিপুর শহীদ স্মরণিকা উচ্চ বিদ্যাপিঠের সিনিয়র শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলামের উপর দুবৃর্ত্তদের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার হাজীপুর শহীদ স্মরণীকা উচ্চ বিদ্যাপিঠের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা নিজ বিদ্যালয় মাঠে প্রিয় শিক্ষকের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে এই মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেন। ওই শিক্ষক একই ইউনিয়নের মজলিপুর গ্রামের বাসিন্দা।
দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম রাজা, শিক্ষিকা প্রনতী রানী দাস, সাবেক শিক্ষার্থী লোকমান চৌধুরী, মনির হোসেন সহ আরও অনেককেই।এসময় বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান সহস্রাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের হাজীপুর শহীদ স্মরণীকা উচ্চ বিদ্যাপীঠের সিনিয়র শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সাথে প্রতিবেশী সন্ত্রাসী বাবুল মিয়া, মেহেদী, মাহবুব, সোহেল, জুয়েল, সজিব, তপন ও সুমন গংদের সাথে বিরোধ চলছিলো। ওই বিরোধের জেরে কয়েকদিন পুর্বে রাতের বেলায় পরিকল্পিত ভাবে আতর্কিত হামলা করে । এতে শিক্ষক রফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার হৃদরোগজনিত সমস্যা বেড়ে গেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে তার উপর হামলার খবরে তার প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা ফুঁসতে থাকে। পরে মঙ্গলবার দুপুরে তার সহকর্মী শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীরা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আল্টিমেটাম দেন নতুবা আরো কঠোর কর্মসূচী দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
শহীদ স্মরণীকা উচ্চ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা বলেন, একই গ্রামে আমাদের বসবাস। শিক্ষকতা এবং ব্যক্তি জীবনে রফিকুল ইসলাম স্যার সদালাপী, ভাল এবং নিরহংকারী একজন মানুষ। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের নিকট একজন প্রিয় শিক্ষক। তার সাথে এমন আচরন কখনোই আমরা কামনা করিনা। আমরা আশা করি দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক বিচার হবে।