Main Menu

কসবায় কুটি সাবেক মেম্বার হারুন মিয়া ইউনুছ মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ:: সাংবাদিক সম্মেলন

+100%-

কসবা প্রতিনিধি(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)  ঃ  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি গ্রামের মোঃ ইউনুছ মিয়া(৬০) বাদী হইয়ে  কুটি ইউপির ১নং ওয়ার্ডের ও কুটি গ্রামের পিতা মৃত-আঃ গফুর মিয়ার পুত্র সাবেক মেম্বার মোঃ হারুন মিয়ার (৫৫) বিরদ্ধে  ৩৫ লাখ টাকা  জেলার কসবা আদালতে ৪২০ ধারা আনিত মামলা করার অভিযোগটি মিথ্যা ভিওিহীন বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিক সম্মেলনে।
গত ৬ জুলাই  সোমবার  দুপুরে কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্যে মোঃ ইউনুছ মিয়া(৬০), পিতা মৃত-আঃ বারিক এর (তিতু মিয়া) দায়ের কৃত ৪২০ ধারায় একই গ্রামের  সাবেক মেম্বার মোঃ হারুন মিয়ার (৫৫)  বিরদ্ধে আনিত অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিওিহীন দাবী  করেন তিনি ।
কসবা  উপজেলার  কুটি গ্রামের মিয়া মোহাম্মদ ইদ্রিছ মিয়া আমার গুদামে কিছু পাট রেখে ব্যবসার করার কথা বলিলে আমি সরল বিশ্বাসে আমার ক্রয়কৃত গোদামে ১৮৯৭ মন ৩২ সের পাট যাহার আনুমানিক মূল্য ২৬ লাখ টাকা রাখেন। পরবর্তীতে উক্ত টাকা বুঝিয়া পাই্য়া আমি ২৮আগষ্ট ২০১২ইং কুটি আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের একটি  চেক আমার হস্তান্তর করে। আমি চেকটি পাইয়া ক্রেতার দেওয়া কাগজে স্বাক্ষর করি। আমি  উক্ত টাকা  উপস্থিত স্বাক্ষী মোঃ মমিনুল ইসলাম,মোঃ রুক্কু মিয়া,মনিদ্দ গোসের সামনে বুঝিয়া নিয়েছি।


মোঃ ইউনুছ মিয়া (৬০) পিতা মৃত-আঃ বারিক (তিতু মিয়া) গত  ১/২/২০১২ ইং মৌজে কুটি ৫৮২ হাল দাগের ১২ শতক বসত ভিটা একই ইউপির কালামুড়িয়া গ্রামের হাজী সামসু মিয়ার কাছে  ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা সাব দলিলে  বিক্রি করেন। কিন্ত প্রতারক মোঃ ইউনুছ মিয়া   একই দাগের বসত ভিটা ৬ মাস পড়ে ২৭/৮/২০১২ইং আলহাজ্ব মিয়া মোহাম্মদ ইদ্রিছ পিতা মৃতঃ জিয়া উদ্দিন আহমেদের কাছে ৫ লাখ টাকা বিক্রি করেন।  একই গ্রামের কাউছার আলম পিতা-মৃত-নোয়াব মিয়ার কাছে  উক্ত জাগা   বিক্রি করে কসবা সাবরেজিষ্টার অফিসে দলিল দাতা গ্রহিতাকে দলিল না দিয়ে পালিয়ে যায়।  অবশেষে  ২০০৯ সালে কসবা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়া দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ১০/২০০৯ইং  মোঃ ইউনুছ মিয়ার বিরুদ্ধে দেওয়ানী মামলা করিলে পরিশেষে আদালত কৃর্তক দলিল নং ৫১৩৩/২০১২ইং তাকে বুঝিয়ে দেন।  এছাড়া  উক্ত কাউছার আলমের মামলার পলাতক আসামী।


ইউনুছ মিয়ার আমার কাছ থেকে নগদ টাকা গ্রহণ করেন। একই সাথে ৩৫ লাখ (পয়ত্রিশ) টাকা  গ্রহণ করার বিষয়াদি মিথ্যা ও বানেয়াট পরিকল্পিত বলে আমি হারুন মিয়া দাবী করেন।
আদালতে দায়ের কৃত মিথ্যা মামলাটি কসবা থানায় তদন্তে  প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে না বিধায় গত ৬ জুলাই তদন্তকর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে তদন্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করিলে তা আমলে নিয়ে কুটি ইউপি চেয়ারম্যানকে তদন্তভার প্রদান করেন।


সাংবাদিক সম্মেলনে হারুন মিয়া  বাদী ইউনুছ মিয়াকে  একজন প্রতারক,বহু অপকর্মের হোতা, মামলাবাজ, পলাতক আসামী হিসেবে গ্রেফতারের দাবী  করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে এই সময় হারুন মিয়ার  সাথে উপস্থিত ছিলেন কুটি গ্রামের মোহাম্মদ রুক্কু মিয়া।






Shares