বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হাটের ৪র্থ সভা কসবায় অনুষ্ঠিত
কসবা প্রতিনিধি,খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী :: কসবা সীমান্তের কমলা সাগর দীঘির উত্তরপাড়ে তারাপুর এলাকায় ২০৩৯নং পিলার সংলগ্ন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে দু’দেশের যৌথ মালিকানায় সীমান্ত হাটের বিষয় নিয়ে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর ) দুপুরে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষ্যে দু’দেশের সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে বাংলাদেশ জেলা পরিষদ ডাক বাংলো কসবা এলাকায় ৪র্থ পর্যায়ে আলোচনায় বসেন।
এতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নাজমা বেগম। ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট শ্রী ডি.কে চাকমা,ত্রিরপুরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শসীষ্ঠ চক্রবর্তী।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন; কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট আনিসুল হক ভুইয়া,কসবা পৌর মেয়র মুহম্মদ ইলিয়াস,ত্রিপুরার শিল্প ও বাণিজ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী পরিচালক নরেন্দ্র আগারওয়াল, সীমান্ত হাট কমিটির সদস্য শ্রীমতি দুলুন সরকার হাজারী প্রমুখ। জানা যায়, বাংলাদেশের ৬৯.৬৬ শতাংশ ও ভারতের ৬৯.৬৬ শতাংশ ভূমিতে ভারত সরকারের ২ কোটি ৪৪ লাখ রুপি ব্যয়ে ৫০টি দোকান ঘর ৩ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা কথা ছিল।কিন্ত কাজ বর্তমানে দ্রুত গতিতে হচ্ছে। তৈরীকৃত সীমান্ত হাটে বাংলাদেশের ২৫ জন ব্যবসায়ী ও ভারতের ২৫ জন ব্যবসায়ী নির্ধারিত পণ্য দ্রব্য বিক্রয় করতে পারবেন। প্রতি বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সীমান্ত হাটের কার্যক্রম চলবে। সীমান্ত হাট উপলক্ষ্যে দু’দেশের সীমান্তবর্তী মানুষের মধ্যে আর্থিক ভিত্তি মজবুত হবে বলে দু’দেশের সীমান্ত অধিবাসীরা মনে করছেন। এই সময় কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম,সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহেল আহাম্মেদ,কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান,কসবা সীমান্ত বিজিবি অধিনায়কসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।কসবা উপজেলা কল্যাণ সাগর পাড় জেলা পরিষদ ডাক বাংলোয় প্রান্তিকে একান্ত আলোচনায় মিলিত হন।