৪ দফা পতাকা বৈঠকের পর কৃষককে ফেরত দিলেন ভারতীয় বিএসএফ
খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বাংলাদেশী নাগরিক জনু মিয়া (৫০)কে ৪ দফা পতাকা বৈঠকের পর গত শনিবার রাতে ফেরত দিলেন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বিজিবি রাতেই জনু মিয়াকে তারঁ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। জনু মিয়া কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার পুত্র।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে; গত শনিবার (১৪ জুন) সন্ধা ৭টায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার তেতাভূমি সীমান্তের ২০৬০ পিলারের কাছে দু‘দেশের কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর জনু মিয়াকে ফেরত দেয় বিএসএফ। বিজিবির পক্ষে বৈঠকের নেতৃত্ব দেন সংকুচাইল বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার এমদাদ ও ভারতের বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের আশাবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার ধরমেন্দ্র ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আশাবাড়ি সীমান্তে দু‘দেশের কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পতাকা বৈঠকে বিজিবি ধরে নিয়ে যাওয়া জনু মিয়াকে বাংলাদেশী নাগরিক দাবী করে তার জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়েছে। গত শুক্রবার সকাল ১০টায় এবং বিকেল ৪টায় ৩ দফা কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হলেও বাংলাদেশী ওই নাগরিককে ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে; ভূমিহীন জনু মিয়া ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তের ২০৫২ পিলার সংলঘœ ফায়েজ মিয়ার বাড়িতে ঘর তুলে বসবাস করে। গত বুধবার রাতে তিনি বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আড়াইটা থেকে ৩টার দিকে ভারতীয় পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ওই বাড়িতে হানা দিয়ে জনু মিয়াকে ১২ নং গেইট দিয়ে ভারতে ধরে নিয়ে যায়। এ নিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ লোকজনদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
রবিবার দুপুরে কুমিল্লার বিজিবি ১০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক (সিও) লে. কর্ণেল সহিদুর রহমান বলেন; দু‘দেশের কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে ৪ দফা পতাকা বৈঠকের পর বাংলাদেশী নাগরিক জনু মিয়াকে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় বিএসএফ। রাতেই জনু মিয়াকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।