Main Menu

যৌতুক না দেওয়ায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন গৃহবধূ

+100%-

কসবায় যৌতুক না দেওয়ায় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের হাতে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ পলি আক্তার (২৫)। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ ঘটনায় গৃহবধূ পলি আক্তার বাদি হয়ে গত বুধবার (২১ মে) রাতে কসবা থানায় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার এজাহার ও নির্যাতিত গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের চান্দাইসার গ্রামের আবদুল মালেক মিয়ার পুত্র বাছির আহাম্মদ (৩৫) এর সাথে ৮ বছর আগে পার্শ্ববর্তী আখাউড়া উপজেলার আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের মেয়ে পলি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ক্রয়ের জন্য নগদ ২ লাখ টাকা এবং আসবাবপত্রের জন্য দেড় লক্ষ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। বিয়ের পর তাদের ২ পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।

বিয়ের পর থেকে বাছির আহাম্মদ যৌতুক দাবি করে আসছে। গত মঙ্গলবার (২০ মে ) বাছির আহাম্মদ তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। টাকা এনে দিতে স্বীকৃতি না দেওয়ায় তাকে বাছির আহাম্মদ ও তার পরিবারের লোকজন শারীরিক ভাবে নির্যাতন চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এক পর্যায়ে শিশু দুটিকে বাড়িতে রেখে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। খবর পেয়ে পলি আক্তারের বাবার বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে গত বুধবার দুপুরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত পলি আক্তারের বড় ভাই মোহাম্মদ হোসেন বলেন, প্রায়ই তার বোনকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালাত। ওই দিন যৌতুক এনে দিতে রাজী না হওয়ায় তাকে শারিরীক ভাবে নির্যাতন চালায় তারা। চিকিৎসক জানিয়েছে তার অবস্থা আশংকাজনক। কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আহত গৃহবধু পলি আক্তার বাদি হয়ে তার স্বামী ও দেবর বাসুরসহ ৭ জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছে। আসামিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।






Shares