একটি শিশুর জন্মকে কেন্দ্র করেই যা কিছু !
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা খাড়েরা ইউপিস্থ গোলাসার গ্রামের হাসনা হানা বেগম মিথ্যা মামলা দিয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে সহ বৃদ্ধাদেরকে হয়রাণী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি শিশুর জন্মকে কেন্দ্র এই মামলার উৎপত্তি।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, আবু জামাল এর সাথে জেসমিন আক্তার এর বিয়ে হয় দীর্ঘ ১০ বছর। কিন্তু বিগত নয় বছরে কোন সন্তান হয়নি, শেষ বছরে যে কন্যা সন্তানটি পৃথিবীতে এসেেেছ তা আবু জামালের সন্তান নয় কৃত্তিম উপায়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে জেসমিন কন্যা সন্তানটির মা হয় এই কথাটি হাসনা হেনা বেগম আবু জামাল কে বলেন। আবু জামাল কথাটি শুনে তার স্ত্রী জেসমিন কে জিঙ্গাসা করলে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পারিবারিক কলহ বাধে। পরে এই কথাকে কেন্দ্র করে জেসমিন ও হাসনা হেনার মাঝে ঝগড়া হয়, আর এই ঝগড়াকে কেন্দ্র করেই মামলা। এরি ধারাবাহিকতায় গত ২৫/০৪/২০১৪ইং তারিখ হাসনা হেনা বাদি হয়ে কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৫২।। এছাড়া মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে বাদিনীর স্বামী বোরহান উদ্দিন একজন সেনাবাহিনী কর্মকর্তা তিনি বগুড়া সেনানিবাসে কর্মরত আছেন। মূলত তিনি আনসার ব্যাটলিয়নে
স্থানীয় এলাকাবাসী আমিন আহমেদ, মোখলেছুর রহমান, আলহাজ্ব ফরিদ ভূইয়া আরো অনেকে জানান, হাসনা হেনা বেগম এই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করায় মোল্লা বাড়ির মাথা অনেকটা নিচু হয়ে গেছে। একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলাটি করা ঠিক হয়নি।
মামলার বাদিনী হাসনা হেনা জানান, মামলার ১নং আসামী আবু জামাল মোল্লা ব্যতিত আর যারা এই মামলার আসামী আছেন তারা সবাই নির্দোষ। মামলার ৪নং ও ৫নং আসামী অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক বলে তিনি স্বীকার করেন। এছাড়া এজাহারে উল্লেখিত স্বামী বোরহান উদ্দিন সেনাবাহিনী কর্মকর্তা নয় বরং তিনি আনসার ব্যাটলিয়নে চাকুরি করেন বলে তিনি ও বোরহান উদ্দিন কথাটি স্বীকার করেন।
মামলার তদন্তকারী এস.আই মজিবুর রহমান-১ জানান, একটি শিশু বাচ্চা নিয়ে মামলার ১নং আসামী আবু জামাল মোল্লার স্ত্রীর সাথে বাদিনী হাসনা হেনা বেগমের কথা কাটাকাটি হয়। এছাড়া আবু জামাল মোল্লা নাকি বাদিনীকে মারধর করার জন্য আসছিল বলে জানান। মামলাটি সামাজিক বৈঠকে শেষ হবে বলে ও আশ্বাস দেন।