Main Menu

কসবায় ট্রান্সফর্মার চুরির ঘটনায় ৩৮ মামলা

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার চুরির হিড়িক পড়েছে। শিকলবন্দী করেও ট্রান্সফর্মার চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না।

স্থানীয় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির হিসাব অনুয়ায়ী, গত এক বছরে এ উপজেলায় ৩৮টি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। এসব ঘটনায় থানায় ৩৮টি মামলাও হয়েছে।

কসবা থানা পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের ধামসার গ্রামে ট্রান্সফর্মার চুরির সময় হাতে-নাতে রবিউল হাসান ওরফে অহিদ মিয়া (২০) নামে এক যুবককে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। গ্রেফতার হওয়া অহিদ মিয়া খাড়েরা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে।

কসবা পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধামসার গ্রামের সুরুজ মিয়ার বাড়ির পশ্চিম পাশে ১৫ কেভি’র একটি ট্রান্সফর্মার গত বছর চুরি হয়। সেই ট্রান্সফর্মারের আওতাধীন গ্রাহকরা ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে পুনরায় ট্রান্সফর্মার স্থাপনের পর সেটি শিকল দিয়ে বেঁধে দেয়।

এরপর থেকে চুরি প্রতিরোধে কড়া পাহারাও বসানো হয়। গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) গভীর রাতে চোরেরা ওই গ্রামের ট্রান্সফর্মারটি চুরির চেষ্টাকালে স্থানীয় লোকজন রবিউল হাসান ওরফে অহেদ মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। বাকিরা পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় কসবা পল্লীবিদ্যুৎ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. আবদুল সাত্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতার হওয়া রবিউল হাসান ওরফে অহেদ মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পল্লীবিদ্যুৎ সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে ৩৫টি এবং চলতি বছরে তিনটি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে। গত মার্চ মাসে উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের বুগীর গ্রামের ফারুক মিয়ার বাড়ির সামনের ট্রান্সফর্মারটি চুরি হয়।

ফারুক মিয়া জানান, এর আগের বছরও তাদের ট্রান্সফর্মারটি চুরি হয়। চুরি হলেই তাদের টাকা দিয়ে পুনরায় ট্রান্সফর্মার আনতে হয়। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে খাড়েরা গ্রামের ১৫ কেভি একটি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে।

ধামসার গ্রামের ইউপি সদস্য আনু মিয়া বলেন, ট্রান্সফর্মার চুরির হিড়িক পড়েছে। সেচ মৌসুমে একের পর এক ট্রান্সফর্মার চুরির কারণে ইরি-বোরো চাষ হুমকির মুখে পড়েছে।

পল্লীবিদ্যুতের কসবা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সংঘবদ্ধ চোরেরা ট্রান্সফর্মার চুরি করে নিয়ে ভেতরে পিতলের তৈরি মূল্যবান জিনিসগুলো বিক্রি করে বাকি অংশ ফেলে দেয়।

তিনি বলেন, ট্রান্সফর্মার চুরির অভিযোগে থানায় ৩৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ট্রান্সফর্মার চুরির অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।



« (পূর্বের সংবাদ)



Shares