Main Menu

কসবায় বিএনপি ও জাতীয় পার্টি’র নির্বাচন বর্জন

+100%-

কসবায় ৫৬টি কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি গতকাল সোমবার (৩১ মার্চ) উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচন চলাকালে দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রথমে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ও বেলা ১টায় জাতীয় পার্টির সমর্থিত প্রার্থীরা পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন এবং পুনঃ নির্বাচনের দাবি জানান।


পুলিশ ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সহযোগীতায় বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র সরকার সমর্থকরা দখল করে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ব্যালট পেপারে সীল মারে। সকাল ১১টায় গোপীনাথপুর ইউনিয়ন’র ভাতশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ঘন্টায় ২ হাজার ভোট পরে। এব্যাপারে প্রিজাইডিং অফিসার সাংবাদিকদের কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।  সকাল ৯টায় গোপীনাথপুর ইউনিয়নে ফতেহপুর কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ কর্মীরা কেন্দ্র দখল করলে যৌথ বাহিনী তাদের ধাওয়া দিয়ে বের করে দিলে ভোট যথারিতি শুরু হয়। একই সময়ে গোপীনাথপুর ইউনিয়নে সীমান্তবর্তী কেন্দ্র ধজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিএনপি সমর্থক ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে কথা কাটাকাটি নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।  এক পর্যায়ে বিএনপির কর্মীরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাংচুর করে। এদিকে সকাল ১১টায় বায়েক ইউনিয়নের নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে বিদ্যালয়ের পিয়ন মোঃ ইব্রাহীমকে পারভেজ মোশারফের নেতৃত্বে অপহরণ করা হয়। পরে যৌথ বাহিনীর তল্লাশি কালে প্রায় ২ ঘন্টা পরে তাকে ছেড়ে দেয়। মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল গ্রামের ভোট কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, বাড়ি-ঘর ভাংচুড়ের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়। বাদৈর ইউনিয়নে শিকারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ১০টায় দুর্বৃত্তরা ককটল বিস্ফোরণ ঘটায়।
অপরদিকে কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে দুপুর ১২টায় সাগর নামে এক ছাত্রদল কর্মী একটি ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দায়িত্বরত আনসার তাকে ধাওয়া করে ব্যালট বাক্সটি উদ্ধার করে।
অন্যদিকে বেলা ১২টায় কসবা পৌর মিলনায়তন বিএনপি সংবাদ সম্মেল করে উপজেলার ৭৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫৩টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে প্রার্থীরা ভোট বর্জন করে এবং পুনরায় নির্বাচন দাবি করে। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন; চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইকলিল আজম, ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ শরীফুল ইসলাম ভূইয়ার পক্ষে উপজেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল উদ্দিন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুন নাহার রিনা। এ সময় কসবা পৌর মেয়র উপজেলা বিএনপি সভাপতি মুহাম্মদ ইলিয়াস ও দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তাছাড়া সাড়ে ১২ টায়  জাতীয় পার্টি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তারেক এ. আদেল কসবাস্থ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫৬টি ভোট কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন ঘোষণা করে পুনঃ নির্বাচন দাবি করেন। এ সময় জাতীয় পার্টি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ আদেলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তারেক এ আদেল আরো জানান, শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি পরিদর্শনে গেলে আওয়ামী লীগ কর্মীরা তার গাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করে।
এবিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ খলিলুর রহমান জানান, আনারস প্রতীকের প্রার্থী মৌখিক ৫৩টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন। কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী লিখিত ভাবে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।






Shares