কসবায় হামলা-ভাংচুর সহ বর্জনের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত,আগামীকাল বিএনপির অর্ধ দিবস হরতাল
কসবা প্রতিনিধি :: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আজ ৩১ মার্চ ২০১৪ ইং হামলা-ভাংচুর ও বিএনপিসহ তিন জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন এর ঘোষণা করার সংবাদ পাওয়া যায়।অপর দিকে কসবা উপজেলা বিএনপি আগামীকাল সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত অর্ধ দিবস হরতাল এর ঘোষণা করার সংবাদ পাওয়া যায়।
কসবা উপজেলার মেহারী ইউপির সিমরাইল গ্রামের সাতপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ব্যাপক সংর্ঘষ সহ বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছেন বিএনপি ও আওয়ামীলীগের নেতাকমীরা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন। ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ রাস্তায় লাঠি সোটা নিয়ে উভয় পক্ষই অবস্থান নেন। মেহরী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামলাল জানান আলম মিয়াসহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় বিএনপির ২০জন আহত আর ৬টি বাড়িঘর ভাংচুর করার অভিযোগ করেন। এ ছাড়া আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড ভাবে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দিয়েছে বলে বিশেষ সূত্রটি জানান।
শিকরপুর ভোট কেন্দ্রের সামনে ককটেল ফুঁটানো, রাণীয়ারা বিঞ্চপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছোট খাট ঝামেলার জের ধরে স্থানীয় আওয়ামীলীগের কর্মী বাড়ি ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেেেছন বিএনপির নেতাকর্মীরা বলে সূত্রটি জানান।
নির্বাচনের দিন দুপুর ১২টায় কসবা পৌরসভা কার্যায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপির ইকলিল আজম, জাতীয় পার্টির তারেক এ আদেল, জামায়াত এর মজিবুর রহমান,ইসলামী আন্দোলনের মোস্তুাফিজুর রহমান এক যোগে নির্বাচন ব্যাপক কারচুপির সহ সুষ্ঠ না হওয়ায় বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে। এক কথায় বড় ধরণের অঘটন বা নাশকতা ছাড়াই কসবায় নির্বাচন স্বাভাবিক হয়েছে বলে সচেতনমহল অভিমত প্রকাশ করেন। এই দিকে কসবা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াছ নির্বাচনে ভোট কারচুপির প্রতিবাদে অর্ধ দিবস হরতাল পালনের কথা ঘোষণার কথা জানান স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে।
কসবা উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৯০ হাজার ৮ শত ৪২ জন। ভোট কেন্দ্র-৭৩ টি,ইউনিয়ন ১০টি,পৌর সভা-৯টি,গ্রাম- ২শত ৪১টি। সব মিলিয়ে ৫ম ধাপের ভোট গ্রহণ বিভিন্ন সহিংসতার মধ্য দিয়ে অনুষ্টিত হয়েছে।