কসবায় কলেজ ছাত্রীকে জোড়পূর্বক ধর্ষনের অভিযোগ, থানায় মামলা
পুলিশ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ধর্ষিতাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কলেজের এক ছাত্রীকে (১৮) জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে রাজু মিয়া (২২) নামের এক বখাটে। গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপক্্ের ভর্তি করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামী রাজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। গত বুধবার রাতে ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বখাটে রাজু মিয়ার নামে জোর পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ এনে কসবা থানায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ কলেজছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বখাটে রাজু মিয়া (২২) কসবা পৌর শহরের কালিকাপুর গ্রামের জরিপ মিয়ার ছেলে। রাজু মিয়া কসবা পুরাতন বাজারের সাইফুলের ফার্নিচার দোকানে কাঠ মেস্তুুরের কাজ করে। তার বাবা জরিপ মিয়া ভ্যান গাড়ী চালিয়ে কসবা থানা এলাকার মৃত ব্যক্তিদের লাশ বহন করে মযনাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠায় এবং তাদের বাড়িতে পৌছে দেয়।
হাসপাতাল, পুলিশ, মামলার এজাহার, কলেজ ছাত্রী ও তার পরিবার সুত্রে জানা গেছে, পিতা মাতাহীন মেয়েটি পালিত বাবার কাছে বড় হন। মেয়েটি স্থানীয় একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেনীতে পড়াশুনা করে। প্রতিদিন কলেজে আসা-যাওয়ার পথে কাঠ মেস্তুুর রাজু মিয়া তাকে উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। গত বুধবার সকালে মেয়েটি কলেজে যাওয়ার পথে রাজুর উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করে। কলেজ শেষে মেয়েটি টিএন্ডটি সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে তার বাড়ি ফেরার পথে রাজু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে দানু কবিরাজের বাড়ির সামনে গেলে রাজু মিয়া মেয়েটিকে মুখে রুমাল চাপা দিয়ে তাকে জোড়পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। ৫ তলা ভবন সংলগ্ন সুলতান মিয়ার পরিত্যাক্ত বাড়ির একটি ভাঙ্গা ঘরে রাজু তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির জ্ঞান হারিয়ে গেলে রাজু তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মেয়েটি বাড়ি ফিরছে দেখে মেয়েটি মা ও পরিবারের লোকজন বিকেলে খুজঁ খুজতে পাশ্ববর্তী গ্রামের দানু কবিরাজের বাড়ির একটি ভাঙ্গা ঘর থেকে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস্কে ভর্তি করে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মফিজ উদ্দিন ভূইয়া বলেন; ধর্ষণের অভিযোগ এনে কলেজ ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে রাজু মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি রাজু মিয়া খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। রাজু মিয়াকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। তার বাবাসহ পালিয়ে গেছে। গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জালাল সাইফুর রহমান বলেন; বিষয়টি খুবই হৃদয় বিধারক। অভিযুক্ত রাজু মিয়াকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে মানননীয় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।