প্রতিনিধি : বহু আলোচনা সমালোচনার পর কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগ ৫১ সদস্য নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়। কমিটি গঠন করার পর এই সর্ব প্রথম আগামী ৯ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় কসবা উপজেলা মিলনায়তনে এক বর্ধিত সভার আযোজন করা হয়েছে। আর এই বর্ধিত সভা নিয়ে কমিটির ৫১ সদস্যর মধ্যে প্রায় ২৪জন সদস্য ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্যাগি নেতাদের সদস্য ভুক্ত ব্যতি রেখে কমিটি গঠন ও যুবলীগ সম্মেলন বিহীন কমিটি গঠন নিয়ে আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীদের মাঝে রাগ অভিমান বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কমিটি থেকে গণহারে পদত্যাগ করার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৯ নভেম্বও শনিবারে কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় কমিটির একাংশ যোগদান করবে না বলে সারা কসবায় সবার মুখে মুখে সরগম হয়ে উঠেছে। গতকাল সকালে কসবা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু জাহের ও কসবা পৌর যুবলীগের সভাপতিমো.দুলাল জানান আগামী শনিবার আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় উক্ত কমিটির প্রায় ২৪ জন সদস্য যোগদান থেকে বিরত থাকবে। কারণ শাহপুরলীগ যতদিন অবসান না ঘটবে তত দিন তারা কোন আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করবে না বলে বিশেষ সূত্রটি জানান। কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগ তিন ভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক দল কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এড. মোহাম্মদ শাহ আলম,একটি কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আজহারুল ইসলাম অপরটি কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রুহুল আমীন ভুইয়া বকুলের। কখনো কখনো ১+২= ৩ নয় ২ হয়।ঠিক তেমনি ভাবে দলীয় নেতারা মন্তব্য করেন কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদ মিলেমিশে এক আর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বঞ্চিত ত্যাগি নেতারা মিলে মিশে এক হয়েছে বলে বিশেষ সূত্রটি জানান। এই দলীয় ফাটল বদ্ধ না করে নৌকায় সকলকে তুলতে না পারলে আগামী দিনে আওয়ামীলীগ সকল আন্দোলন কোন ভাবেই চাঙ্গা করতে পারবে না বলে সচেতনমহল অভিমত প্রকাশ করেছেন। |