প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার দক্ষিণ কসবায় মামলার জের ধরে নিরহ ফরিদ মিয়ার বাড়িতে গত ১০সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে দ্বিতীয় বারের মত হামলা চালিয়ে তার পরিবারের সদস্যদেরকে আহত করে।এসময় ঘর বাড়িসহ মালামালের ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।এই ঘটনার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটি কসবা থানায় এজাহার দিয়েও ঘটনার ৬ দিন পরও থানায় মামলাটি এফআইআর করনা হয়নি।এই নিয়ে এলাকায় জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যক্ষর্শী সূত্র জানায়,দক্ষিণ কসবা গ্রামের ফরিদ মিয়ার (৫৫)সাথে প্রতিবেশী মিলন মিয়া গংদের সাথে পূর্বশক্রতার জের ধরে মামলা মোকাদ্দোমার বিরোধ চলে আসছিল। প্রতিপক্ষদের অন্যায় অত্যাচারের ফলে গত ১২ সেপ্টেম্বর কসবা থানা মামলা নং-১৫ মিলন মিয়া(৫৫)পিতা মৃত্যু হিজু মিয়াসহ ১০জনকে আসামী দিয়ে ফরিদ মিয়া বাদি হয়ে মামলা দায়ের করা হয়। আসামী মিলন মিয়া বিজ্ঞ আদালতে হাজির হলে আদালত কর্তৃক তাকে জেলা হাজতে প্রেরণ করেন।আসামী মিলন মিয়া জাবিনে বাড়িতে এসেই ফরিদ মিয়ার অবর্তমানে তার বাড়িতে গিয়ে মিলন মিয়ার লোকজন দ্বিতীয় দফা হামলা চালিয়ে মহিলাদেরকে আহত করে বাড়ি ঘর ভাংচুর সহ দাঁ দিয়ে কুপিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন,ঘরের মালামাল লুটপাট করেন। ফরিদ মিয়ার আহত স্ত্রী আনোয়ারাকে কসবা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আনোয়ারা বেগম স্বামী ফরিদ মিয়া বাদি হয়ে কসবা থানায় এই ঘটনায় এজাহার দিলে অফিসার ইনচার্জ মো. বদরুল আলম তালুকদার আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কসবা থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মো.মজিবুর রহমান(২) সরেজমিনে তদন্তের জন্য পাঠান। তদন্ত কর্মকর্তা সরেজমিনে এসে হামলার ঘটনা সততা খুজে পেয়ে ওসির নিকট রিপোর্ট প্রদান করেন উক্ত দারোগা। কিন্ত ওসি প্রভাবশালীদের প্রভাবের ফলে মামলাটি ৬ দিন পরও এফআইআর করছেন না বলে বাদী পক্ষ অভিযোগ করেন। বাদির ছোট ছোট ছেলে মেয়ে সহ মৌলভিবাজার স্থায়ী বসবাসরত মাওলানা আলাউদ্দিন জিহাদীকে পরিকল্পিত ভাবে প্রতিপক্ষ মিলন মিয়া একটি মিথ্যা মামলার আসামী দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগও করেছেন। কসবা থানায় দেওয়া কৃত এজাহারটি ৬ দিন পরও এফআইআর না করার ফলে এলাকায় ধমধম ভাব বিরাজ করছে। ঘটনা সততা খুজে৫পেলেও কেন ৬দিন পরও মামলাটি এফআইআর করা হচ্ছে না ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চাচ্ছে এলাকাবাসী। এই বিষয়ে স্থানীয় দৈনিক পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল্ । |