কসবা প্রতিনিধি : উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জের ধরে কসবায় আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১০জন আহত হয়েছে। এ সময় ৫টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহষ্পতিবার দুপুরে উপজেলার বায়েক গ্রামে। এ ঘটনায় দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দলীয় সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার সৈয়দাবাদ ডিগ্রী কলেজ থেকে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শ্যামল কুমার রায়ের নেতৃত্বে দুইশতাধিক মোটর সাইকেল নিয়ে একটি মোটর সাইকেল র্যালি উপজেলার বায়েক গ্রামে পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ প্রবাসী সমুন এর বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়ার সময় বায়েক গ্রামের মোড়ে পৌছলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট শাহ আলমের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। হামলায় শ্যামলের লোকজন দৌড়ে জীবন রক্ষা করে। সংঘর্ষে কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল কুমার রায়, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক, মোঃ তসলিম, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম স্বপন, কামাল হোসেন, গোলাম জিলানী, মোঃ আলামিন, মিজানুর রহমান, রুপস সহ ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। হামলাকারীরা ৫টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল কুমার রায় ও জেলা যুবণীগের প্রচার সম্পাদক এড.এনামূল কাজল, মো.বশীর আহাম্মেদ, কসবা ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু ছফিয়ান ভুইয়া রুপস, কসবা উপজেলা পানিয়ারুপ গ্রামে অ্যাডভোকেট আনিছুল হকের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা হামলার বিচার সহ অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট শাহ আলমের সমর্থকরা তাদের উপর হামলা করেছে। এতে তাদের ১০জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাজী মোঃ আজহারুল ইসলাম বলেন, বায়েক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে তাদের ঝগড়া হয়েছে বলে শুনেছি। এতে উপজেলা আওয়ামীলীগ জড়িত নয়। এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বদরুল আলম তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা আমার জানা নেই। কেউ আমার কাছে অভিযোগও করেনি।
|