প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি অনুমোদনের ১৫ দিনের মাথায় পুনরায় স্থগিত করা হয়েছে। গত বুধবার জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ এ.কে.এম. এমদাদুল বারী কমিটি স্থগিত করেন। এই ঘটনায় একাংশের নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছাস বিরাজ করলেও কমিটি অনুসারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা যায়,গত ৯ জুন কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগেরদিন উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃনমূল নেতাকর্মীদের পক্ষে অ্যাডভোকেটফজলুল হক জেলা আওয়ামীলীগ বরাবর এক আবেদন করে সম্মেলন স্থগিতের আহবান জানায়। আবেদনে জানানো হয় যে, সম্মেলনে অধ্যক্ষ বাছির আহমেদকে নির্বাচন পরিচালনা কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে যিনি কসবা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে কোনোভাবেই জড়িত নন। অভিযোগ রয়েছে তিনি ঢাকায় বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। আরো অভিযোগ করা হয় সম্মেলনে সভাপতি পদে এক লাখ পঁচিশ হাজার টাকা ও সাধারণ সম্পাদক পদে এক লাখ বিশ হাজার টাকা মনোনয়ন ফি নেয়া হয় যাতে সাধারণ নেতাকর্মীরা মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে পারেনি। এরপরও নির্ধারিত তারিখে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই মাসের ৭ তারিখে জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপজেলা কমিটি অনুমোদন করলে দলের পরিক্ষীত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠে। এই কমিটি বাতিল করে পুনরায় কাউন্সিলের মাধ্যমে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচনের আবেদন জানান বঞ্চিত নেতাকর্মীরা। তাদের পক্ষ থেকে তসলিমুর রেজা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত আবেদন জানালে গত ২১ আগস্ট জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ এ.কে.এম.এমদাদুল বারী কমিটি স্থগিত করেন। এই নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। কসবায় আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে অভ্যন্তরীন কোন্দলের আশঙ্কা করছেন সাধারন নেতাকর্মীরা। |