কসবা থেকে খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী ঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভাস্থ পুরাতন বাজারের বুক চিরে বয়ে যাওয়া রাজার খাল। আর এই রাজার খাল ও পুরাতন বাজারে চলছে পাকাঘর নির্মাণ। রাজার খাল,হিন্দু সম্প্রদায়ের শশ্বানখলা ও বাজার দখল করে এ পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলার ফলে দখল হয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পওি। এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কসবা পৌরসভার উপকন্ঠে ২শত বছরের পুরানো ঐত্যর্যবাহি কসবা পুরাতন বাজারস্থ পশ্চিম পাশে বয়ে যাওয়া রাজার খালটির জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন একশ্রেণীর ভূমিগ্রাসীচক্র।এই সংবাদটি জাতীয় দৈনিক নিউজ,দেশের পত্র ও আঞ্চলিক দৈনিক প্রজাবন্ধু পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর এলাকাবাসী আলোর মুখ দেখেছে। যা “ টপ অপ দ্যা কসবা” হিসেবে বিস্তার লাভ করেছে। কিন্ত সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর একশ্রেণীর ভূমিগ্রাসীচক্রটি আধাজল খেয়ে লেগেছে তাদের নির্মাণাধিন দখলকৃত ইমারত রক্ষায়।বিশেষ সূত্রটি জানান একশ্রেণীর প্রভাবশালীদেরকে ব্যবহার করছে এই বিষয়ে কোনো ভাবেই যেন রাজার খাল নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ(ভূমিপরিমাপের) না পড়তে পারে।এবং হিন্দু সম্প্রদায় শস্নান খলায় মুত্যুকারীদেরকে দাহকরার যে রাস্তাটি বদ্ধ ছিল তা প্রদান করতে দখলীয়রা নমনিয়সহ রাজি হয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জালাল সাইফুর রমানের এক কথা সরকারী আমীন দ্বারা পরিমাপ করে রাজার খাল দখলীয় জাগা উদ্ধারের মাধ্যমে জনগণের অধিকার বাস্তবায়নে আইনি ভাবে সচেষ্ট ।তাই জেলা প্রশাসকের কাছে এই বিষয়ে আইনগত সহযোগিতার পাওয়ার জন্য পত্র দিয়েছেন।এলাকাবাসী বলছেন এই রাজার খাল দখলের কারণে ভারতীয় পাহাড়ী ঢলে যে,কোনো সময় জলবদ্ধাতার ফলে কসবা পুরাতনবাজারসহ আশেপাশের ধানের জমি তলিয়ে যাবে।তাই ভূমিগ্রাসীচক্রের হাত থেকে রাজারর খাল কে উদ্ধার করে কসবাকে বাচাঁনোর জন্য সকল শ্রেণীর মানুষ এগিয়ে আসতে হবে। উল্লেখ্য যে, শত বছরের পুরাতন ঐত্যির্য রাজার খালটি দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতীয় পানি নিস্কাশনে সুব্যবস্থা ছিল। পাহাড়ি ঢল আসলে প্রায় ৯০ফুট পাশ এই রাজার খাল দিয়ে পানি সরবরাহ হয়ে এলাকার ঘরবাড়ি,ধানের ফসল রক্ষা হত।সেই পানি নিস্কাশনের রাজার খালের দুই পাশে মাটি ভরাটের মাধ্যমে স্থাপনা নির্মাণ করছেন একশ্রেণীর ভূমিগ্রাসীচক্র। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে নামে ম্এা এখন ১২/১৩ ফুট পাশ আছে।আর বাকি দুই পাশের ৮৭ফুট জাগা তিন দাগে রাজার খালের পরিমান সিএস রেকর্ডে ৮শ ৫৩শতক। সিএস খতিয়ানে শশ্বান খলা ৩৪৩ দাগে ৩একর ৪৩ শতক,৩৪২ দাগে-৩একর ৪২ শতক,৩৫৯ দাগে-১একর ২০ শতক। ৩৪৩ দাগে দেবন্দ্রকুমার রায়,পিতা-কালী কুমার রায় শস্নান খলা-১৫+১০=২৫শতক,জগবন্ধু পিতা-গরীচন্ত্র রায়,৩৪২দাগে ৩ একর ৯০শতক,৩৫৯দাগে সৈয়দ ইমাম ১একর ২০শতক। অথাৎ ৮একর ৫৩ শতক বলে কসবা পৌর কাউন্সিলর মো. কামাল সরকার জানান। তিনি আরোও জানান ১৯৮৮ সাল ও ১৯৯০ সালে এই রাজার খাল এলাকায় কিছু লোক জাগা ক্রয় করে বসত করিতে থাকে। এই রাজার খাল ১৯৬০ সালে আরএস,সিএস,খতিয়ানে ৮শ ৫৩ শতক।কোন এক অদৃশ্যের রাহুগ্রাসের সুবাদে ১৯৭৪/৭৫সালের দলিল মালিকানা দেখিয়ে ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারীরর মাধ্যে স্ব নামে নামজারির মাধ্যমে রেকর্ড করে এবং রাজার খাল আস্তে আস্তে ভরাট করে দখল বাজিতে ইমারত স্থাপনা মেতে উঠেছে। এমনি ভাবে ধীরে ধীরে রাজার খাল দিয়ে ভারতীয় পানি নিস্কাশনের সকল ব্যবস্থা ব্যাহত হতে থাকে। বর্তমানে ১শতক জাগা বাজার ধর ১০লাখ টাকা। কসবা পৌর কাউন্সিলর মো. কামাল সরকার আরো জানান,রাজার খাল ও কসবা পুরাতন বাজারের জায়গা দখল করে যারা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে তাদের অনেকবার নিষেধ করা হলেও তা মানছে না। এতে কসবা পৌরএলাকাস্থ রাজারখাল ও পুরাতন বাজারের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে অপর দিকে দখলের ফলে কোটি কোটি টাকার সম্পদ দখল হয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। কসবা পৌরহিন্দু শস্নান খলার সভাপতি নন্দলাল সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সেবক সাহা জানান,কসবা পৌর এলাকাস্থ হিন্দু সমাজের লোকজন মারা গেলে মৃত্যু ব্যাক্তিদের লাশ শস্নানে নিয়ে যেতে পারছে না,এই রাজার খাল দখলের কারণে। তাই রাজার খাল উদ্ধারে দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কসবা পৌর হিন্দু শস্নান খলার সভাপতি নন্দলাল সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সেবক সাহার নেতৃত্বে কসবার হিন্দু সমাজের ২০জনের একটি দল উপজেলা নির্বহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ করা হয়।অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজার খাল দখলকারীদের বৈধ্য কাগজপত্র নিয়ে রাজার খাল ঘটনাস্থলে উপিস্থত হওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাইকিং করার কথা জানান। এবং রাজার খাল উদ্ধারে এলাকাবাসীর কাছে সকল প্রকার সহযোগিতার করার জন্য শস্নান খলার কমিটিকে জানান ।এই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে শতকোটি টাকার সম্পাওি দখল করার সংবাদটি এখন ‘টপ অপদ্যা কসবা’ ।এই ব্যাপারে কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জালাল সাইফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,রাজার খাল দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জায়গা দখল করে যারা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে তার তালিকা সহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় আমিন কর্তৃক ভূমি পরিমাপের মাধ্যমে অবিলম্বে রাজার খাল উদ্ধারসহ দখলকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
|