শেখ হাসিনার মতো নেতা আমরা পাবনা…আইনমন্ত্রী
কসবা প্রতিনিধি ॥ আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতা আমরা পাবনা। তাঁকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা থাকলেই মানুষের মুখে হাসি ফুটে এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়। বাংলাদেশ তাঁর দেখানো পথে ২০৪১ সালে সারাদেশে বিশ্বে একটি উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত হবে এবং সেই অর্জন লাভ করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভ’মিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ঘর নির্মানের লক্ষ্যে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পুরন করতে দেয়নি খন্দকার মোস্তাকসহ ঘাতক কুলাঙ্গাররা। ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও সোনার বাংলা গড়াকে ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। দেশের একজন মানুষও যেন ভূমিহীন ও গৃহহীন না থাকে সেই লক্ষ্যেই মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এ জন্যই তিনি মাদার অফ হিউমেনিটি হিসেবে পরিচিত এবং তাঁকে সেই তকমা দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভ’ইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিমুল এহসান খান,পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারন সম্পাদক কাজী আজহারুল ইসলাম,জেলা পরিষদ সদস্য এমএ আজিজ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী ও উপজেলা ছাত্রলীগ আফজাল হোসেন রিমন প্রমুখ। এসময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধিগন, গন্যমান্য লোকজনসহ আশ্রয়নের বাসিন্দা উপকার ভোগী লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
পরে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এলাকার দুজন অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা খরচ বাবদ ৩ লাখ টাকা তুলে দেন। এছাড়াও উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে এলাকার ৩৪ জন ক্যান্সার ও কিডনী রোগীর মাঝে ১৭ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য, উপজেলায় নির্মনাধীন আশ্রয়নের ১৯৭৩ টি ঘরের মধ্যে প্রায় ১১ শত ঘর নির্মান বাকি রয়েছে। সেসব ঘর নির্মানে প্রতি ঘরে অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা করে খরচ মেটাতে আইনমন্ত্রী ডাচ বাংলা ব্যাংকের সহায়তায় ও নিজ তহবিল থেকে এই অনুদানের চেক প্রদান করেন।