শিক্ষকের সততা
ডেস্ক ২৪:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক গত বুধবার বিকেলে রাস্তায় এক লাখ টাকা কুড়িয়ে পান। পরে তিনি ওই টাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে জমা দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই টাকা প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের রামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক উৎপল কুমার গত বুধবার বিকেলে পৌর শহরের পুরান বাজার এলাকায় পৌর মুক্তমঞ্চের সামনে এক হাজার টাকা নোটের একটি বান্ডিল পড়ে থাকতে দেখেন। বান্ডিলটি কুড়িয়ে দেখেন, এতে এক লাখ টাকা আছে। টাকা পাওয়ার বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে আশপাশের লোকজনকে জানান। কিন্তু কেউ উপযুক্ত প্রমাণ দিতে না পারায় এ টাকা তিনি ইউএনও মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের কাছে জমা দেন। এ ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় ইউএনও পৌর এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করেন।
এক আত্মীয়ের মাধ্যমে মাইকিংয়ের খবর পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার গুঞ্জর গ্রামের আবুল কাশেম মিয়া (৬০) ওই টাকা তাঁর বলে দাবি করেন। পরে তিনি এক লাখ টাকা ইউএনওর কাছ থেকে গ্রহণ করেন।
আবুল কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি গত বুধবার বিকেলে কসবায় তাঁর এক আত্মীয়ের জমি বিক্রি করে তিন লাখ টাকা নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। পরনের লুঙ্গিতে ওই টাকার বান্ডিল গুঁজে রেখেছিলেন। সেখান থেকে কোনো ফাঁকে একটি বান্ডিল পড়ে যায়। পরে টের পেয়ে পুরো রাস্তায় বারবার খুঁজেও আর টাকা পাননি। হারানো টাকা ফেরত পাওয়ার এ ঘটনায় তিনি শিক্ষক উৎপল কুমার ও ইউএনও মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শিক্ষক উৎপল কুমার বলেন, ‘টাকাটা আমি হাতে না নিলে হয়তো অন্য কেউ নিয়ে যেত। এই ভেবে টাকাটা কুড়িয়ে নিয়েছিলাম। প্রকৃত মালিক টাকাটা পেয়েছেন জানতে পেরে বেশ আনন্দ লাগছে।’
ইউএনও মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘একজন শিক্ষক রাস্তায় এক লাখ টাকা কুড়িয়ে পেয়ে আমার কাছে জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্য দিয়ে সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। টাকা প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’সূত্র:: প্রথম আলো