বিএনপি-জামাত নির্বাচন আসলেই সন্ত্রাসী কাজ শুরু করে…..আইনমন্ত্রী
কসবা প্রতিনিধি। আইনমন্ত্রী বলেন, যখনই বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একটা উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন তখন প্রত্যেকটা নির্বাচনের সময় বিএনপি-জামাত সন্ত্রাস করা শুরু করেন। ২০১৪ তে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, ২০১৮ তে মনোনয়ন সন্ত্রাস করেছে এখন শুরু করেছে রেল কাটা সন্ত্রাসী কাজ । রেলের বগির মধ্যে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করছে। তাদের কাছে নিস্পাপ শিশুও মাফ পায়না। তাদেরকেও তারা হত্যা করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কসবা উপজেলার সোনারগাঁও মাদরাসা মাঠে জাতীয় নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, যখন বাংলাদেশের উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছিলো, মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ যখন পরিবেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রায় তৈরি করে এনেছিলেন, যখন বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে দুর্যোগ কথা চলে যাচ্ছিল তখন এই বিএনপি-জামাতের নেতারা জাতির পিতাকে তাঁর পরিবারের সকলকে হত্যা করে। যদিও তখন বিএনপি ছিলোনা এটা অনেকে মনে করতে পারেন। কিন্তু বিএনপি’র প্রেতাত্মার জন্ম তখনই হয়েছিলো এবং এই বিএনপি করার যাদের উদ্দেশ্য ছিলো তারা জাতির পিতাকে পরিবারের ১৭ জন সদস্যসহ হত্যা করে। তারপরে বাংলাদেশে হত্যা, কারফিউ এবং নির্যাতনের রাজনীতি শুরু হয়।
তিনি বলেন, তখন কারফিউ দিয়ে সেনাবাহীনির মধ্যে শুধু শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের গুলি করে মেরে ফেলা হতো। আজকে তাদের সন্তানরা ঘুরে বেড়াচ্ছে বিচারের জন্য। বাংলাদেশকে একটা ভিক্ষুকের রাষ্ট্র করার জন্য তাদের ছিলো উদ্দেশ্য। জামাত, আল বদর, আল রাজাকার যারা মানুষ খুন করেছে তাদেরকে দিয়ে এই জিয়াউর রহমান । যারা রাজাকার ছিলো তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছে। যারা রাজাকার ও আইয়ুব খানের দোসর ছিলো তাদেরকে মন্ত্রী বানিয়েছে। বাংলাদেশে কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে তিনি দেখেন নাই। আর জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে প্রায় নিঃশেষ করে দেয়ার চেষ্টা করেছিলো।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, এই বিএনপি জামাত সন্ত্রাস করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তারা অসহযোগ আন্দোলন করে শুধু তাদের মনের শান্তির জন্য। তাদের ডাকে পশুও সাড়া দেয়না। জনগন তাদের প্রত্যক্ষান করেছেন। তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক রাজনৈতিক দল হিসেবে এটা জনগন চায়। জনগনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যেহেতেু আপনারা তাদের সমর্থন করেননা এজনই তারা আপনাদের কাছে আসেনা। বিএনপি-জামাত ১৯৯১ ও ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর যেই টাকা লুট করেছে সেই টাকা খরচ করে এখন বিদেশীদের কাছে যায়, বিদেশীদের সাথে আতাঁত করে। তারা বাইডেনকে চিঠি দেয়। অমুককে চিঠি দেয়, তমুককে চিঠি দেয় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তিনি আগামী ৭ জানুয়ারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জনগনকে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক এডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভ’ইয়া জীবন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহসভাপতি ও পৌরমেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, কুটি ইউপি চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপনসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল অঙ্গসংগঠনের দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।