কসবা নিমবাড়ি রহিজ হত্যা ঘটনায় ২মামলায় গ্রামে পুরুষ শূন্য
জমির পাকা ধান ঘরে তুলা সহ নিরাপওা প্রদানে পুলিশ অঙ্গিকারবদ্ধ —-এএস পি সার্কেল আবদুল করিম
আশিকুর রশীদ ঢালী মুরাদ,কসবা প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউপির নিমবাড়ি গ্রামে একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা নিয়ে গ্রামের নারী পুরুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। হত্যা কান্ডের ঘটনায় নিহতর পরিবারের পক্ষে ১৭ জনকে আসামী করে একটি আর কসবা থানা পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা প্রদানে ৪৯ জনকে আসামী করে আরেকটি মামলা দায়ের করে। দুই মামলায় ৬৫ জন আসামীগং করার ফলে এবং দিন রাত পুলিশের ব্যাপক তৎপরতায় গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
এ দিকে জমির পাকা ধান ঘরে কেটে না আনার ফলে“গৃহিনীরা চিন্তা করছে কিভাবে ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাঁচবে” এই কথা সাংবাদিকদের জানান গ্রামবাসী। ১৬ এপ্রিল ২০১৭ইং কসবা উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী সকাল সাড়ে ১১টায় কসবা-আখাউড়ার সার্কেল সহকারি পুলিশ সুপার আবদুল করিমকে ঘটনাটি জানান।
তিনি বেলা ১টায় পুরুষ শূন্য নিমবাড়ি গ্রামের ৬০/৮০টি বাড়িতে গিয়ে জমির পাকা ধান কেটে ঘরে আনার জন্য মহিলাদেরকে অভয় দেন। এবং গ্রামের নিরহ মানুষ পুলিশি হয়রানির শিকার হবেন না বলে অঙ্গিকার করেন। কেউ পুলিশের নামে ভয় ভীতি দেখিয়ে অপ প্রচার ছড়ালে বা হুমকি দিলে তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ দিতে অনুরোধ করেন।
এই কথা শুনার পর তখন গ্রামের মহিলাদের মুখে একটু হাসি দেখতে পাওয়া গেছে।
উক্ত সময় কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত মনিরজ্জামান, কসবা উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী, এস আই আশরাফ কামাল,এস আই সোহেলসহ স্থানীয় দুইজন ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল নিমবাড়ি গ্রামের পান্ডু ও কাবিলি গোষ্ঠির মধ্যে পূর্ব শুক্রতার জের ধরে রহিজ মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছিল। এই ঘটনার জের ধরে গ্রামে দিন রাত পুলিশি অস্থায়ী ক্যাম্পসহ টহল অব্যাহত রয়েছে।