কসবা সীমান্ত এলাকায় বিজিবি কর্তৃক বিএসএফ এর পুশইন প্রচেষ্টা প্রতিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত দিয়ে ১২ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে পুশইন করতে চাইছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
এ ঘটনায় বিএসফ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেও কোনো সমাধান না আসায় সীমান্তে টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এতে করে শনিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে দুই দেশের শূন্যরেখায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে অবস্থান করছেন ওই ১২ নারী-পুরুষ ও শিশু।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা সদরের হাকর সীমান্তের ২০৩৯/১২-এস পিলার এলাকা দিয়ে ১২ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। এ সময় বিজিবির টহল দলের সদস্যরা ওই ১২ নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে বাধা দেন।
এ ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএসএফ সদস্যরা ওই ১২ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশি নাগরিক বলে দাবি করেন। কিন্তু বিজিবি সদস্যরা ওই ১২ জন বাংলাদেশি নাগরিক নয় জানিয়ে দেন। পতাকা বৈঠকের পর বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তে টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে।
বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভারত সীমান্তের দিক থেকে ১২ জন নারী-পুরুষ বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। বিএসএফকে বলা হয়েছে তাদেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বিএসএফ আমাদের বলেছে তাদেরকে নেয়ার জন্য। আমরা বলেছি এভাবে আমরা নিতে পারব না, এটি অবৈধ প্রবেশ হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, শনিবার পতাকা বৈঠকে বলা হয়েছিল- তারা ভারতের অংশ থেকে ঢুকেছে এবং তাদের কাছে বাংলাদেশি কোনো পরিচয়পত্র নেই। যেহেতু ভারতের অংশ থেকে এসেছে, সেহেতু ধরেই নেয়া যায় তারা ভারতের লোক। এখন তারা সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতীয়দের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে অবস্থান করছেন।