কসবা থানার একটি একটি ইট খুলে ফেলার হুমকি দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা
ব্রাহ্মনবাড়িয়ার কসবা থানার একটি একটি ইট খুলে ফেলার হুমকি দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। থানার প্রধান ফটকে লাথি মেরে ভেতরে প্রবেশ করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে অসৈজন্য মুলক আচারন করে। এসময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মকর্তাদের থানা থেকে প্রত্যাহারের হুমকি দেয়। শুক্রবার রাত প্রায় ১০টায় কসবা থানা অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। মাদকসেবী এক ছাত্রলীগ কর্মী আটকের জেরে থানায় হামলা চালিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতারা। এসময় তারা পুলিশের উপর হামলার চেষ্টা করে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকালে কসবা রেলষ্টেশনে আলম নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী মাদক সেবন করার সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের উপর হামলা করে। তখন পুলিশ তাকে সহ একটি নম্বর বিহীন মোটরসাইকেল আটক থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে শুক্রবার রাত দশটার পর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ মনির হোসেন ও সাধারন সম্পাদক আফজাল হোসেন রিমনের নেতেৃত্বে ৪০/৫০ জন ছাত্রলীগ নেতারা কসবা থানায় ঢুকে আপক্তি কর কথাবার্তা বলে। থানার একটি একটি ইট খুলে নেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার টেবিল চাপড়িয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশের একটি সুত্র জানায়, গত ২৬ মার্চ থেকে সীমান্তবর্তী কসবায় মাদক নির্মুলে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। অন্তত ২৫ টি মোটসাইকেল আকট করা হয়। অর্ধশত মাদক ব্যবসায়ী সেবীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকেই পৌর মেয়র থানা পুলিশকে নানা ভাবে হুমকী দিয়ে আসছে। মোটরসাইকেল ও মাদক ব্যবসায়ী ধরা বন্ধ করার আহবান জানান।
কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ছাত্রলীগ করি না। সেই ঘটনার বিষয়ে কিছু জানিনা।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, তারা থানায় ঢুকে আমাকে হুমকি প্রদান করেছে। তাদের নাম্বার বিহীন মটরসাইকেল গুলো কেন ধরা হচ্ছে এতে তারা বেশ কিছুদিন আগে থেকে আমার উপর ক্ষিপ্ত হতে থাকে। থানার একটি ইট রাখা হবেনা সবগুলি খুলে নেওয়া হবে বলে তারা হুমকি দিয়ে যাই। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।