কসবায় সিএনজি চালকে নির্যাতনের ঘটনায় এস আই বেলালের বিরুদ্ধে মামলা
কসবা প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার চুরির মামলায় এক সিএনজি চালককে আটক করে শারিরীক নির্যাতনের ঘটনায় এস আই বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছে নির্যতিত সুমন।
গত ২৮ এপ্রিল অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুল ইসলাম বিষয়টি আমলে নিয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে আদালতকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশন দেন।
জানা যায়, কসবা থানার তালতলার জগৎপুর গ্রামের প্রকাশ মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশারের পুত্র সিএনজি চালক মোঃ সুমনকে গত ২৪ এপ্রিল দুপুরে কসবা পুরাতন বাজার সিএনজি ষ্ট্যান্ডে তাকে আটক করে মারপিট করে থানায় নিয়ে পুলিশ হেফাজতে এস আই বেলাল কোমড়ে এবং পশ্চাদদেশে গরম পানি ঢেলে অমানবিক নির্যাতন করে।
এই বিষয়ে জেলার দৈনিক পত্রিকা গুলো বিশেষ সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এই সময়ে সুমন এর পকেটে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ ২ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সুমনকে কসবা থানায় দায়েরকৃত কথিত চুরির মামলায় কোর্টে প্রেরন করে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আদালত মোঃ সুমনকে জামিন দেন। এই অবস্থায় পুলিশী নির্যাতনে আহত মোঃ সুমনের বর্তমান অবস্থা আশংকা জনক বলে সূত্রটি জানায়।
সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ২৮ এপ্রিল আইনজীবির মাধ্যমে কসবা থানার এস আই বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে পি নং-৬১/১৬ মামলাটি দায়ের করে।
নির্যাতনের শিকার মোঃ সুমন এর আইনজীবি মোঃ এ, আল মামুন খান তৈমুর, (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালত সুমনের অভিযোগ আমলে নিয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এই বিষয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালীকে জানান,নিধারিত সময়ে তদন্ত কাজ শেষ করে আদলতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আলোচিত এস আই বেলাল হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানায় দায়িত্ব পালনকালে প্রায় প্রতিদিন নানা অজুহাতে নিরীহ লোকজন ধরে এনে নির্যাতন করে রফাদফার পর ছেড়ে দিত বলে অভিযোগ রয়েছে যাহা স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা গুলোর প্রথম পৃষ্ঠায় ৪মে ২০১৬ইং সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এই ব্যাপারে কসবা থানার এস আই বেলাল হোসেনের সাথে ০১৮১৯-৮৯৭৫১০ মোবাইল ফোনে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে তিনি নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং তার বিরুদ্ধে মামলার বিষয় জানেন না বলে জানান।
এই দিকে আহত সুমনকে তাঁর মোবাইল ফোনে কসবা থানার কতিপয় দারোগা মোবাইল করে বিরক্ত করছেন এবং মোবাইল ফেনের কারণে ভয়ে দিনাতিপাত করছেন বলে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠেছে।