কসবায় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১, আহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মুরশিদ মিয়া নামের এক ব্যক্তি নিহত ও তাঁর দুই ভাই আহত হয়েছেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় মজলিশপুর গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত মুরশিদ মিয়া (৫০) উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের জয়দুল হোসেনের ছেলে। আহত ব্যক্তিরা হলেন মুরশিদ মিয়ার বড় দুই ভাই হারুন মিয়া (৬৬) ও মোস্তু মিয়া (৬০)। তাঁদের মধ্যে মোস্তু মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে কসবা থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মজলিশপুর গ্রামের সুদন মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ শুক্রবার সকালে তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হবে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জমি নিয়ে মজলিশপুর গ্রামের হারুন মিয়া ও সুদন মিয়ার লোকজনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। হারুন মিয়া বুধবার তাঁদের গ্রামের পশ্চিমপাড়া পাঞ্জেগানা মসজিদে ৩০০ লোকের জন্য ইফতারের আয়োজন করেন। হারুন মিয়া লোকজনসহ ইফতারি নিয়ে মসজিদে যাওয়ার পথে সুদন মিয়ার লোকজন তাঁদের ওপর দা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেন। এ সময় সুদন মিয়া ও নিজাম মিয়ার ছেলেরা মুরশিদ মিয়া, মোস্তু মিয়া ও হারুন মিয়াকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে মুরশিদ মিয়া ও হারুন মিয়ার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গতকাল দুপুরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুরশিদ মিয়া মারা যান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মোস্তু মিয়াকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
পলাতক থাকায় হামলা চালানোর অভিযোগের বিষয়ে সুদন মিয়া ও নিজাম মিয়া এবং তাঁদের ছেলেদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মুরশিদ মিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর বড় ভাই হারুন মিয়া বাদী হয়ে বুধবার রাতে সুদন মিয়ার ছেলে সবুর মিয়াকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাঁদের মধ্যে বিল্লালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।সূত্র:: প্রথম আলো