পরিবারর দাবি যৌতুকের জন্য খুন করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে
কসবায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কসবা পৌর এলাকার বিশারাবাড়ী এলাকা থেকে বিয়ের ৯ মাস পর শনিবার দুপুরে ইয়াসমিন আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের বাবার দাবি, তাঁর মেয়েকে যৌতুকের জন্য খুন করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলেই জানা যাবে, এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। সৌদি প্রবাসী স্বামী সাইফুল পলাতক রয়েছে বলে সংবাদ পাওয়া যায়।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালেও স্বামী সাইফুল ও শাশুড়ি শেফালী বেগমের সঙ্গে ইয়াসমিনের ঝগড়া হয়েছে। দুপুরে খবর আসে ইয়াসমিন তাঁর কক্ষের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যা করেছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। এ সময় গৃহবধূর স্বামী, শাশুড়ি ও পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়ি ছেলে পালিয়ে যান।
যৌতুকের জন্য প্রায় ইয়াসমিনকে নির্যাতন করা হতো। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে স্বামী সাইফুল ইসলাম তিন লাখ টাকা যৌতুক দিতে বলেন; কিন্ত ইয়াছমিন অপরাগতা জানালেই ইয়াছমিনকে জীবন দিতে হয়েছে বলে তার বাবা আব্দুল আউয়াল স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে জানান।ঘটনার দিন থেকে সাইফুল ইসলাম পলাতক থেকে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে নিহত ইয়াছমিন আক্তারের বাবা জানান।
গৃহবধু ইয়াছমিন এর বাবা আব্দুল আউয়াল সাংবাদিকদেরকে আরও জানান; জামাই সাইফুল ইসলাম ও তার মা শেফালী আক্তার পরিকল্পিত ভাবে যৌতুকের জন্য হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখেন। পুলিশী সংবাদে আমরা খবর পেয়ে কুমিল্লা জেলার বাঙ্গরা থানার সীমানাপাড় থেকে কসবা থানায় হাজির হয়ে স্বামী সাইফুল ইসলামসহ তার পরিবারের ৪জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন,থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ইয়াছমিনের বাবা আব্দুল আওয়াল বাদী হয়ে স্বামী সাইফুল ইসলামসহ ৫জনকে আসামী করে অভিযোগ দিয়েছেন।
সাইফুল ইসলাম পলাতক থাকায় স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তারের লাশ ময়তদন্ত শেষে গ্রহণ না করায় তার মরাদেহ কুমিল্লার বাংগরায় নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে। সৌদি প্রবাসী সাইফুল ইসলাম ঘটনা দিন থেকে পলাতক ও সৌদিতে চলে যাওয়ার পায়তারা করছেন বলে মামলার বাদী আব্দুল আওয়াল সাংবাদিকদেরকে জানান।