কসবায় কাজের আগেই বিল, ‘দৈনিক আমাদের সময়’এ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ১৩ঠিকাদার
‘দৈনিক আমাদের সময়’ পত্রিকার ৯১ সংখ্যা, বর্ষ ১৬, ৬ষ্ঠ পৃষ্ঠার ৭ ও ৮ কলামে ৪ জুলাই ২০২০ তারিখে “এডিপির ৫০ লাখ টাকার বিশেষ বরাদ্ধ কসবায় ৯০ শতাংশ কাজের হদিস নেই” শিরোনামে একটি মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যা সঠিক নয় ও দূরভিসন্ধিমূলক ।
১৩ জন ঠিকাদার যৌথ প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করেন,সংবাদে প্রকাশ করা হয়েছে ঠিকাদাররা বিল উঠিয়ে নিয়ে গেছেন যা মিথ্যা, সত্যের অপপ্রলাপ ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
উল্লেখ্য, করোনাকালীন সময়ে ২০১৯/২০ অর্থ বছরের শেষ পর্যায়ে অর্থাৎ ৯জুন মাননীয় আইনমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা কসবায় এডিপি’র ৫০ লাখ টাকার বরাদ্ধ আসে। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালবার্ট, ঘাটলা, সড়ক, সংস্কার, সেতুর সৌন্দর্যবর্ধন, নলকূপ স্থাপন, মাদরাসার উন্নয়ন ইত্যাদি কাজের জন্য বরাদ্ধ ৯ জুন ২০২০ ইং তারিখে আসায় সময় স্বল্পতার জন্য এ সমস্ত প্রকল্পগুলোর বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় দেয়া সম্ভব ছিলনা। ফলে “কোটেশনের” (পিপিআর ২০০৮) মাধ্যমে প্রকল্প বরাদ্ধ দেয়া হয়। আমরা সর্বমোট ১৩টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১৩টি প্রকল্প বিধিঅনুসারে বরাদ্ধ পাই। আমরা প্রতিটি প্রকল্পের বিপরীতে উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর পে-অর্ডার জামানত হিসেবে জমা দেই। কাজ সম্পন্ন করার পর আমরা বিধিমোতাবেক ওই পে-অর্ডার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ফেরৎ পাবো।
যেমন, মায়ের দোয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৪ লাখ টাকার কাজ পেয়েছেন। তিনি প্রকৌশলীকে ৪ লাখ টাকার পে-অর্ডার দিয়েছেন। একইভাবে ওমরাহান এন্টার প্রাইজ প্রতিষ্ঠান কাজ পায় ৪ লাখ টাকার। তিনিও জামানত হিসেবে প্রকৌশলীর নিকট পে-অর্ডার দিয়েছেন ৪ লাখ টাকা। একইভাবে আরো ১১টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রতিটি প্রকল্পের বিলের সমপরিমাণ অর্থ প্রকৌশলীর নামে পে-অর্ডার করেছেন। যা সম্পূর্ণ সরকারী বিধি (পিপিআর ২০০৮) অনুসারে কাজ করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভাষ্যমতে আমাদের বক্তব্য হলো, আমাদের সময় প্রতিনিধি নিশ্চিত হয়েছেন এই বরাদ্ধ ৯ জুন নির্বাহী অফিসার পেয়েছেন। কিন্তু ২৫ জুনের মধ্যে বিল সাবমিট না করলে টাকা ফেরত যেতো এবং কসবা উপজেলা ৫০ লাখ টাকার উন্নয়নের কাজ থেকে বঞ্চিত হতো। আমাদের সময় প্রতিনিধি তাও নিশ্চিত হয়েছেন, সমপরিমাণ অর্থের পে-অর্ডার উপজেলা প্রকৌশলীর নামে সংরক্ষণ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এই সংবাদটি প্ররিবেশন করে আমাদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হয়েছে। পক্ষান্তরে আমাদের সময় পত্রিকার মতো একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকা এ দূরভিসন্ধিমূলক সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের সকলের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছেন। এই জন্য সারাদেশে এই পত্রিকার মাধ্যমে আমাদের সম্মান এবং প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদার বিপুল পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। আমরা এই উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
১. মেসার্স তাজ এন্টারপ্রাইজ
২. মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ
৩. মেসার্স মোবাইল ফেয়ার
৪. মেসার্স হাবিব এন্টারপ্রাইজ
৫. মেসার্স জান্নাত এন্টারপ্রাইজ
৬. মেসার্স ওমরাহ হান ইন্টারন্যাশনাল
৭. মেসার্স হাসান অ্যান্ড হুসাইন এন্টারপ্রাইজ
৮. মেসার্স শাহা ট্রেডার্স
৯. মেসার্স ঈশা ইলেকট্রনিক্স
১০. মেসার্স মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ
১১. মেসার্স শুকরিয়া এন্টারপ্রাইজ
১২. মেসার্স বুশরা ট্রেডার্স
১৩। মেসার্স ইমাম ট্রেডার্স
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি