কসবায় ১৫ মাস পর কবর থেকে কিশোরের লাশ উত্তোলন
রুবেল আহমেদ : কসবায় শরীফ মিয়া (১৮) নামের এক কিশোর বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার ১৫ মাস পর আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট মো. ফয়সাল আহমেদের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত শরীফ মিয়া (১৮) কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের খিরনাল গ্রামের শাহআলম মিয়ার ছেলে। সে পেশায় ইজিবাইক চালক ছিলো।
পুলিশ ও নিহতের পারিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খিরনাল গ্রামে শরীফ মিয়া ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক চালাতো। গত বছরের ১৭ মার্চ দুপুরে বাড়িতে খাবার খেতে বাড়িতে আসে শরীফ। বাড়িতে শরীফের চাচা রুবেল মিয়ার নতুন পাকা ঘর নির্মাণের কাজ চলছিলো। বিদ্যুতের তার টেনে ওই নির্মানাধীন ঘরে ওয়্যারিংয়ের কাজ করছিলেন ইলেক্ট্রিশিয়ান রমজান মিয়া। বাড়িতে ঢুকেই উঠানের মধ্যে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় শরীফ। এ সময় শরীফের আর্তচিৎকারে বাড়ির লোকজন দেখতে পায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আছে সে ।
দ্রুত বিদ্যুতের মেইন লাইন বন্ধ করে তাকে উদ্ধার করে অজ্ঞান অবস্থায় কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে নিয়ে আসে বাড়ির লোকজন। শরীফের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কুমিল্লা নেয়ার পথেই শরীফের মৃত্যু হয় । তখন ময়নাতদন্ত ছাড়াই শরীফ মিয়াকে দাফন করে পরিবার।
এ ঘটনার কয়েকদিন পর শরীফের বাবা মো. শাহআলম বাদী হয়ে রুবেল মিয়ার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে ময়না তদন্তের জন্য শরীফ মিয়ার লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। তারই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে শরীফের লাশ উত্তোলন করা হয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, নিহত শরীফের বাবা শাহআলম আদালতে মামলা দায়ের করায় আদালতের নির্দেশে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট, চিকিৎসা কর্মকর্তা ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে দাফনকৃত শরীফের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।