কসবায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫




কসবা প্রতিনিধি:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই পক্ষের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও আরো অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।আজ শনিবার সকালে ওই উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কসবা-আখাউড়া সার্কেলের সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাহিদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত ফয়েজ ভূঁইয়া (৫৮) নিমবাড়ি গ্রামের মৃত লতিফ ভূঁইয়ার পুত্র।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ২০১৭ সালে পূর্ব শত্রুতার জেরে নিমবাড়ি গ্রামের পান্ডু গোষ্ঠী ও কাবিলা গোষ্ঠীর মধ্যে হওয়া টেঁটা সংঘর্ষে পান্ডু গোষ্ঠীর রহিছ মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন। এরপর কাবিলা গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার আসামিরা দীর্ঘদিন কারাভোগের পর সম্প্রতি জামিন পেয়ে এলাকায় আসেন। অপর দিকে কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভুইয়া জীবনসহ স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন মিলে গ্রামের শান্তি বজায় রাখতে এক সভায় দুই পক্ষকে চলাফেরা করতে বলা হয় বলে এলাকার লোকজন জানান। বাড়িতে এসেই কাবিলা গোষ্ঠীর লোকেরা পূর্বের মামলাটি তুলে নিতে পান্ডু গোষ্ঠীর লোকদেরকে হুমকি-ধামকি দেন। এই হুমকি-ধামকির সূত্র ধরে দুই পক্ষের লোকেরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে শনিবার সকালে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এদিকে সংঘর্ষের সময় কাবিলা গোষ্ঠীর দাঙ্গাবাজরা স্থানীয় বাজার থেকে ফেরার পথে ২০১৭ সালের আপন ভাই হত্যা মামলাটির স্বাক্ষী ফয়েজ মিয়াকে উক্ত গ্রামের তাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার মদিনা বাড়ির সামনে আসামাত্র পেছন দিক থেকে টেঁটাবিদ্ধ করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। সংঘর্ষে আহত অন্যান্যদের মধ্যে ফয়েজ মিয়া ও রিমন নামে দুই জনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যরা কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক মো. আরিফুজ্জামান জানান, আহত ফায়েজ মিয়া বাম পায়ে টেঁটাবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। এছাড়া তাঁর শরীরের অন্যান্য স্থানে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম ছিল। তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনার সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে মূলগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মঈনুল ইসলাম ও আসন্ন ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাসুমর দেখা পান। তাদের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে এ বিষয়ে কিছু বলা থেকে বিরত থাকেন।
« নবীনগরে মরহুম খসরু মাস্টার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার ফাইনাল অনুষ্ঠিত (পূর্বের সংবাদ)