রহস্যজনক কারনে ৭ বছর বন্ধ কসবা তারাপুর গ্যাসকুপ
কসবায় গ্যাসের দাবীতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন
কসবা প্রতিনিধি ॥ কসবার গ্যাস কসবায় চাই,শ্লোগানে গ্যাসের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার ( ২৯ আগষ্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার তারাপুর গ্যাসকুপ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে পৌরশহরে ষ্টেশন রোডে এসে মানববন্ধন করেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সাথে এলাকাবাসী এবং গ্যাস ক্ষেত্র তৈরিতে অধিগ্রহনে ন্যায্য মুল্য না পাওয়া জমির মালিকরাও অংশ করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কসবা পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক শরীফুল ইসলাম ভ’ইয়া, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জিয়াউল হুদা শিপন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষে তানভীর ইসলাম শাহীন, ক্ষতিগ্রস্থ জমি মালিকদের পক্ষে জসিম উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালে এই গ্যাসকুপটি খনন করা হয়। শত শত কোটি টাকা খরচ কুপটি খনন করা হলেও গ্যাস উত্তোলন করা হয় আজও। এলাকার সাবেক সাংসদ আইনমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন এখানে গ্যাস উত্তোলন করা হলে কসবা বাসীর প্রানের দাবী অনুযায়ী কসবাসাবী আগে গ্যাস পাবে। কসবাবাসীর গ্যাস পাওয়ার পর জাতীয় গ্রীডে যাবে বাকি গ্যাস। সেই আশায় গুড়ে বালি হয়।
এই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী তানভীর ইসলাম শাহীন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার নেতৃবৃন্দের হাতে থাকা তথ্যমতে এবং বাপেক্সে থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী তারাপুর গ্যাসকুপে সম্ভাবনাময় গ্যাস থাকা সত্ত্বেও অনিয়ম ও রহস্যজনক কারনে বন্ধ রাখা হয় বলে দাবি করেন। এখানে প্রচুর পরিমানে গ্যাস মজুদ রয়েছে যা দেশের ঘাটতি পুরনে সহায়ক হবে। দ্রুত এটি উত্তোলনের দাবী তাদের।
তাদের দাবী ভারতের সাথে আতাঁত করে এই সাত বছর ধরে গ্যাস উত্তোলনের কার্যক্রম বন্ধ রাখে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এই গ্যাসকুপ খনন থেকে শুরু এই পর্যন্ত প্রচুর অনিয়ম হয়েছে যা এলাকাবাসী জানেন না। তিনি প্রায় তিন বছর যাবত বিভিন্ন দপ্তর থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করেন। বর্তমান অন্তবর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নিকট তাদের দাবী এই গ্যাসকুপ খননে সকল অনিয়ম এবং উত্তোলন বন্ধ রাখার কারন জনতার সামনে তুলে ধরে পুনরায় গ্যাসকুপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করে কসবাবাসীর দাবী যেন পুরণ করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের পক্ষে জসিম উদ্দিন বলেন, কুপ খনন কার্যক্রম শুরুতে তিনি সহ অন্যান্য কৃষকের নিকট গ্রহনকৃত জমির টাকার জন্য বাপেক্স’র সংশ্লিষ্টদের কাছে ধর্ণা দিয়েও সুফল পাচ্ছেনা। তাদের দাবী হয় জমিগুলো অধিগ্রহন করে সকল টাকা বুঝিয়ে দেয়া হোক নয়তো কৃষকের জমি কৃষককে ফেরত দেয়া হোক।